মেসি-নেইমারদের গোলে খাবার দেওয়ার উদ্যোগের সমালোচনা করলেন তিতে
>২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মেসি ও নেইমার ক্লাব ও দেশের হয়ে যতবার গোল করবেন, ততবার ১০ হাজার শিশুর জন্য জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য প্রকল্পের (ডব্লিউএফপি) কাছে খাদ্য পাঠাবে মাস্টারকার্ড। গত সপ্তাহে এই উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে ক্রেডিট কার্ড তৈরির খ্যাতনামা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে মাস্টারকার্ডের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে
মাস্টারকার্ডের উদ্যোগটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। ক্রেডিট কার্ড তৈরির খ্যাতনামা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২০১২ সাল থেকেই ব্রাজিল দলের অন্যতম প্রধান স্পনসর। গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ৩১ মে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মেসি ও নেইমার ক্লাব ও দেশের হয়ে যতবার গোল করবেন, ততবার ১০ হাজার শিশুর জন্য জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য প্রকল্পের (ডব্লিউএফপি) কাছে খাদ্য পাঠাবে মাস্টারকার্ড। এই উদ্যোগ অনেকের প্রশংসা কুড়োলেও ব্রাজিল কোচ তিতে কিন্তু সমালোচনা করেছেন।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে মাস্টারকার্ডের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন তিতে। তাঁর প্রশ্ন, শুধু মেসি-নেইমার কেন? সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গটা উঠলে তিতের জবাব, ‘এই দান চমৎকার। সুন্দর এবং মহিমান্বিত। তবে এটা আরও মহিমা পেত যদি আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিলের যে কোনো খেলোয়াড় গোল করলেই খাবার দেওয়া হতো। আমরা দল হিসেবে খেলি আর তাই এই উদ্যোগ হতাশা বয়ে আনতে পারে।’
তিতে নাখোশ হলেও তাঁর শিষ্য নেইমার কিন্তু মাস্টারকার্ডের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের ভাষ্য, ঐতিহ্যবাহী দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ‘একসঙ্গে কীভাবে দারুণ কিছু করতে পারে’ এটা তার উদাহরণ। প্রশংসা করেছেন লিওনেল মেসিও। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘উদ্যোগটির অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবশ্য এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। মাস্টারকার্ডের এই উদ্যোগের সমালোচনাকারীর সংখ্যাও কম নয়। একজনের টুইট, ‘মাস্টারকার্ডকে বলছি, টাকা থাকলে দান করে দাও। ক্ষুধার্ত শিশুগুলোর ভাগ্য ফুটবলারদের ওপর ছেড়ে দিয়ো না।’ আরেকজনের টুইট, ‘অসাধারণ। বিশ্বকাপকে এখন মনে হচ্ছে “হাঙ্গার গেমস”।’