ব্রাজিলিয়ান মডেলকে আপত্তিকর বার্তা পাঠিয়েছিলেন পিকে
গাঁটছড়া বাঁধেননি, কিন্তু এক ছাদের নিচে তাঁরা বসবাস করছেন এক যুগ ধরে। জেরার্ড পিকে ও শাকিরার দুটি ছেলেও আছে। কিন্তু আজ দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। পিকের বিরুদ্ধে প্রেমে প্রতারণা করার অভিযোগ ছিল। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে না বললেও ১২ বছরের সম্পর্ক ছেদের পেছনে কলম্বিয়ান সংগীতশিল্পীর কারণ নাকি এটাই।
স্পেনের সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন চলছিল—ভেঙে যেতে পারে পিকে–শাকিরার সম্পর্ক। কারণ, বার্সেলোনার ডিফেন্ডার পিকে নাকি শাকিরার সঙ্গে সম্পর্কের আড়ালে আরও একজনের সঙ্গে প্রেম করছেন। পিকের যে নারীর সঙ্গে নতুন সম্পর্ক, তাঁর পরিচয় বের করারও চেষ্টা চলেছে। নাম প্রকাশ না পেলেও সেই নারীর বয়স ২০–এর কোঠায় বলে জানিয়েছে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম। কেউ আবার তাঁর চুলের রং, পেশা—এসবও তুলে ধরেছে। টুইটার ঘুরলে তাঁর ছবিও মিলছে!
শাকিরার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন পিকে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বার্সেলোনা ডিফেন্ডারের থলের আরও বিড়াল বেরিয়ে পড়ছে! এই যেমন ‘মিস বামবাম’ খ্যাত ব্রাজিলিয়ান মডেল সুজি কোরতেজ পিকেকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। নাহ্, এই মডেলের সঙ্গে পিকের কোনো সম্পর্ক ছিল না। কোরতেজের দাবি, পিকে লম্বা সময় ধরে তাঁকে ইনস্টাগ্রামে আপত্তিকর অনেক বার্তা পাঠিয়ে গেছেন।
কোরতেজের সঙ্গে বার্সেলোনার যোগাযোগ পুরোনো। একটা সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোরতেজের বন্ধু ছিলেন বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি সান্দ্রো রোজেল। সেই সূত্র ধরেই কোরতেজকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুত্বের আহ্বান জানান পিকে। পিকের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার পর থেকেই শুরু বার্তা পাঠানো।
প্রথমে নাকি পিকে কোরতেজের নম্বর চেয়েছেন। এরপর তাঁকে সরাসরি নানা ধরনের আপত্তিকর বার্তা পাঠাতে থাকেন। ২০১৫ সালে ব্রাজিলিয়ান সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস বামবাম’ জেতা ৩২ বছর বয়সী কোরতেজ ২০১৮ বিশ্বকাপের অন্যতম একজন শুভেচ্ছাদূত ছিলেন।
সেই ইউরোপ সফর শেষে কোরতেজ ব্রাজিলে ফিরে যাওয়ার পর পিকে যেন একটু বেশিই উথালা হয়ে উঠেছিলেন। কোরতেজ সে বিষয়ে বলেছেন, ‘আমি ব্রাজিলে ফেরার পর আমার ইনস্টাগ্রামে প্রতিদিনই বার্তা পাঠাত। প্রতিদিনই আমাকে সেগুলো মুছে ফেলতে হতো। সে শুধু জিজ্ঞেস করত আমি কবে ইউরোপ সফরে আসব। সে আমাকে সরাসরি এমন কিছু বার্তা পাঠাত, যেগুলো প্রকাশ করা মুশকিল।’
কেমন ছিল সেই বার্তা, সেটির একটি নমুনা অবশ্য দিয়েছেন কোরতেজ, ‘সে সব সময়ই আমাকে জিজ্ঞেস করত, আমার নিতম্ব কত বড়!’ পিকে নাকি কোরতেজকে ইউরোপে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, সব খরচ তিনি বহন করবেন! পিকেকে নিয়ে এসব বললেও লিওনেল মেসি আর কুতিনিওর প্রশংসা করেছেন কোরতেজ, ‘বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র মেসি আর কুতিনিওই আমাকে কোনো বার্তা পাঠায়নি। স্বামী হিসেবে তাঁরা অসাধারণ এবং তাঁরা তাঁদের স্ত্রীদের সম্মান করে।’
পিকের কাছ থেকে শাকিরার এমন ‘প্রতারণা’ প্রাপ্য ছিল না বলেই মনে করেন কোরতেজ। কোরতেজ পিকেকে নিয়ে এত কিছু বলার পর একটা প্রশ্ন উঠতেই পারে—এত দিন কেন এসব বলেননি তিনি! সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মডেল, ‘আমি শাকিরার সম্মানের কথা ভেবেই এত দিন চুপ ছিলাম। কিন্তু এখন আমি সবকিছু বলব, আমার সঙ্গে কী হয়েছে, তা–ও বলব।’
কে জানে, কোরতেজ প্যান্ডোরার বাক্স থেকে পিকেকে নিয়ে আর কত কী বের করেন!