ব্রাজিল ‘২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে’, কথাটা মনে রাখতে বললেন দরিভাল

সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রসিবিএফ

২০০২ সালে নিজেদের পঞ্চম ও সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। এরপর আরও পাঁচটি বিশ্বকাপ হয়ে গেলেও ‘হেক্সা’ (ষষ্ঠ) ধরা দেয়নি। গত ২২ বছরে বিশ্বকাপ জেতা দূরে থাক, ফাইনালেও উঠতে পারেনি ব্রাজিল। প্রতিবারই ইউরোপের কোনো না কোনো দলের কাছে নকআউট পর্বের বিভিন্ন ধাপে হেরে ছিটকে পড়েছে।

বর্তমানে ব্রাজিল দলের যা অবস্থা, তাতে আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনাল দূরের স্বপ্নই মনে হচ্ছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরানো নিয়েই চলছে টানাটানি। কিন্তু দলের ওপর আস্থার কমতি নেই কোচ দরিভাল জুনিয়রের। তাঁর বিশ্বাস, আগামী বিশ্বকাপেই ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল।

২০২২ কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ব্রাজিল এ বছর কোপা আমেরিকায়ও শেষ আট থেকে বাদ পড়ে। দলটি ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

চোট থেকে ফেরার লড়াইয়ে আছেন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার
ইনস্টাগ্রাম

বাছাইয়ের ইতিহাসে প্রথমবার তারা হেরেছে টানা তিন ম্যাচ। উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইয়ের পয়েন্ট তালিকায় ছয়ে নেমে গিয়েছিল দরিভালের দল।

গত শনিবার নিজেদের মাঠে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১–০ গোলে জিতে পয়েন্ট তালিকার চারে উঠে এলেও ব্রাজিলের খেলায় নেই উন্নতির ছাপ। দলের সবচেয়ে বড় তারকা ও সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার চোটের কারণে প্রায় এক বছর ধরে মাঠের বাইরে। নেইমারহীন ব্রাজিলকে সাদামাটা এক দলই মনে হচ্ছে। তবু দলকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন দরিভাল।

বাংলাদেশ সময় আজ সকালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে প্যারাগুয়ের মাঠে খেলবে ব্রাজিল। সেই ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণী শুনিয়েছেন কোচ দরিভাল, ‘আমরা আবারও লড়াকু দল হয়ে উঠব, এ ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আমরা ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। আমি ১০০ ভাগ নিশ্চিত। আমার কথাটা মনে রাখুন। এই কথা যখন বলছি, চাইলে ভিডিও করেও রাখতে পারেন।’

ব্রাজিল দলের অনুশীলনে কোচ দরিভাল জুনিয়র
রয়টার্স

এখন থেকে ১ বছর ১০ মাস পর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল ফাইনালে উঠতে না পারলে সেটার দায় দরিভাল নিজেই নেবেন বলেও জানিয়েছেন, ‘এটি না হলে আমাকে দায়বদ্ধ রাখতে পারেন।’

এ বছরের শুরুতে ব্রাজিলের দায়িত্ব পাওয়া দরিভালের মতে, তিনি এখনো দলটাকে গুছিয়ে নিচ্ছেন, ‘বল হারানোর পর প্রতিপক্ষের দুই-তিনটি পাসের মধ্যে দ্রুত নিচে নেমে যাওয়া এবং বল পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে খেলার দর্শনীয় মানের কথা বললে, দল হিসেবে আমরা এখনো সঠিক পথ খুঁজছি। প্রতিপক্ষের গোলমুখের কাছে এখনো আমাদের কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে। নির্ভর করার মতো বিকল্প সেখানে নেই। এমন কেউ নেই, যে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিতে পারে।’

দুর্বলতার জায়গাগুলোয় দ্রুত উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস দরিভালের, ‘রাতারাতি আমরা দুর্দান্ত দল হয়ে উঠব না। এ জন্য সময় লাগবে। তবে দ্রুতই আমরা পথ খুঁজে নেব।’