ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার, নো বল ও ওয়াইড বলে ব্যাটসম্যানদের রিভিউ—এমন অনেক নতুনের সাক্ষীই হলো আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। অনেক নতুনের দিনে অবশ্য সেরা পারফর্মার পুরোনো রশিদ খান। তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় দিয়েই আইপিএলে নতুন মৌসুম শুরু করল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানস।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কাল শুবমান গিলের ৬৩ ও শেষ দিকে রশিদের ৩ বলে ১০ রানের সুবাদে ৫ উইকেট আর ৪ বল বাকি থাকতেই চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছে গুজরাট। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ৫০ বলে ৯২ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান তোলে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরু থেকেই জয়ের পথে ছিল গুজরাট। ঋদ্ধিমান সাহা ১৬ বলে ২৫ রান করে আউট হওয়ার আগে দলকে ভালো শুরু এনে দেন। ঋদ্ধিমান আউট হলে ফর্মে থাকা শুবমান গিল জুটি গড়েন তিন নম্বরে ব্যাটিং আসা ‘ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার’ সাই সুদর্শনের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন।
সুদর্শন করেন ১৭ বলে ২২ রান। হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বিজয় শংকর, রাহুল তেওয়াতিয়া আর রশিদ ছোট ছোট ইনিংস জয় পায় গুজরাট। রাইডুর জায়গায় ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে নামা বোলার তুষার দেশপান্ডে ৩.২ ওভারে দিয়েছেন ৫১ রান। এ নিয়ে আইপিএলে পরে ব্যাট করে ১০ ম্যাচের ৯টিতেই জিতল গুজরাট। এর মধ্যে শেষ ওভারে খেলা শেষ হয়েছে ৮ ম্যাচে, আর তেওয়াতিয়া জয়সূচক রান করেছেন চার ম্যাচে।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেট চেন্নাইয়ের রানটা আরও বেশি হতে পারত। ম্যাচ শেষ ধোনির মুখেও ১৫-২০ রান কম করার আক্ষেপের কথা শোনা গেছে। ১১ ওভারে ১০০ রান করা চেন্নাইয়ের রানের গতি কমে গেছে মূলত গুজরাট বোলারদের শর্ট বল করার কৌশলের কারণে। রুতুরাজকে বাদ দিলে চেন্নাইয়ের বাকি ব্যাটসম্যানদের ৩৭ টি শর্ট বল করেছে গুজরাটের বোলাররা।
তাতে মঈন আলী, আম্বাতি রাইডুরা নিতে পেরেছে মাত্র ৩৯ রান। অথচ রুতুরাজকে করা ২১ টি শর্ট বলে এই ব্যাটসমান নিয়েছেন ৪৩ রান। এক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও চেন্নাই মূলত ১৭৮ রান তুলেছে রুতুরাজের কল্যাণেই।
রুতুরাজের ৯২ রানের পর চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ২৩ , করেছেন মঈন আলী। এই ইনিংস দিয়ে মৌসুমের প্রথম ইনিংসে রান করতে না পারার খরাটা ঘুচল রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের। সর্বশেষ তিন মৌসুমে আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে রুতুরাজের রান ছিল যথাক্রমে ৫,২০, ২।
চেন্নাইয়ের হয়ে ব্যাট হাতে যেমন রুতুরাজ লড়েছেন, তেমনি গুজরাটের হয়ে লড়েছেন রশিদ। আইপিএলের গত মৌসুমে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না পাওয়া রশিদ পাওয়ার প্লেতে বল করতে ফিরিয়েছেন মঈনকে। এরপর আউট করেছেন বেন স্টোকসকেও। এই ম্যাচে কনওয়ের নেওয়া উইকেট দিয়ে মোহাম্মদ শামি আইপিএলে ১০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন। জিতলেও গুজরাটের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে কেইন উইলিয়ামসনের চোট। ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে চোট পেয়েছেন উইলিয়ামসন। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ।