মোদির সঙ্গে কী কথা হলো ডি সিলভা-জয়াসুরিয়াদের
ক্রিকেট-পাগল এক দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। নিজেও যে ক্রিকেটের খোঁজখবর ভালোই রাখেন, সেটা তাঁর এক্স হ্যান্ডলে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে। বলা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা।
ক্রিকেটপ্রেমী বলেই হয়তো শ্রীলঙ্কা সফরে থাকা মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হলো দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন যাঁরা, সেই দলটার বেশ কজন ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাতের পর মোদি যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রীলঙ্কান এই ক্রিকেটারদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তেমনি কিংবদন্তি লঙ্কান ক্রিকেটাররাও বলেছেন মোদিকে নিয়ে তাঁদের মুগ্ধতার কথা।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের আমন্ত্রণে মোদি ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বীপ দেশটিতে সফরে আছেন। এই সফরেই অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার ফাঁকে মোদি সাক্ষাৎ করেছেন অরবিন্দ ডি সিলভা-সনৎ জয়াসুরিয়া-চামিন্দা ভাস-মারভান আতাপাত্তু-রমেশ কালুভিথরানাসহ ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে।
সাক্ষাতের পর মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন, ‘ক্রিকেটের মাধ্যমে বন্ধন! ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই দল অগণিত ক্রীড়াপ্রেমীর হৃদয় জয় করেছে!’
সেই বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ অরবিন্দ ডি সিলভা পরে ভারতের ডিডি নিউজকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) বিশ্বজুড়ে একজন সম্মানিত ব্যক্তি এবং ভারতের জন্য অনেক কিছু করেছেন। এত বড় দেশে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়া একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে এবং আমরা সত্যিই উপভোগ করেছি।’
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার সেই বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন জয়াসুরিয়া, যিনি হয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরাও। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর জয়াসুরিয়া বলেছেন, ‘আমরা ক্রিকেট, আমাদের বর্তমান এবং অতীত এবং এখন আমরা কী করছি, সেসব নিয়ে আলোচনা করেছি। এটি আমাদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। তিনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, ভারত গড়েছেন এবং ভারতের জন্য কী করেছেন, সে সম্পর্কে কথা বলেছেন।’
জয়াসুরিয়ার উদ্বোধনী সঙ্গী কালুভিথরানা বলেছেন, ‘ভারত ও মোদির সরকার শ্রীলঙ্কার সংকটে সব সময় পাশে ছিল। পাশে ছিল আমাদের ক্রিকেটেরও।’ সাবেক শ্রীলঙ্কান পেসার চামিন্দা ভাস বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে আমরা কীভাবে বিশ্বকাপ জিতেছি এবং কীভাবে ভারতকে হারিয়েছি, সেসব গল্প করেছি। প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট অনুসরণ করেন, সবকিছু জানেন, তাঁর ক্রিকেট জ্ঞান খুবই ভালো।’