চার বছর পর টেস্টে ফিরে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ খান। আফগান লেগ স্পিনার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৬ উইকেট। রশিদের ঘূর্ণিতেই জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে টেস্ট জয়ের স্বপ্ন নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনটা শেষ করেছে আফগানিস্তান। নিজেদের নাতিদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ জয় থেকে মাত্র ২ উইকেটের দূরত্বে আফগানিস্তান।
জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বলতে পারেন, আমরা কেন জিতব না! তাঁর দলের প্রয়োজন ৭৩ রান। আফগানদের হতাশ করে শেষ ২ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ম্যাচ জেতাতে অবশ্য অসাধ্যই সাধন করতে হবে আরভিনকে। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক কাল ম্যাচের শেষ দিনটা শুরু করবেন ৫৩ রান নিয়ে। ১৭৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর রিচার্ড এনগারাভাকে নিয়ে নবম উইকেটে ২৭ রান যোগ করে ফেলেছেন আরভিন। ২৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে চতুর্থ দিনটা শেষ করেছে ৮ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে।
জয়লর্ড গাম্বিকে আউট করে আফগানিস্তানকে প্রথম উইকেট এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার জিয়া-উর-রেহমান। জিম্বাবুয়ের অষ্টম উইকেটটিও পেয়েছেন জিয়া। মাঝের ৬টি উইকেটই নিয়েছেন রশিদ। তাতে ম্যাচে ১০ উইকেটও পেয়ে গেলেন রশিদ। ৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই লেগ স্পিনার।
এর আগে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে দিন শুরু করা আফগানরা দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে ৩৬৩ রান তুলে। আগের দিন ৬৪ রানে অপরাজিত ইসমত আলম ফিরেছেন ১০১ রান করে। প্রথম আফগান খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করলেন ইসমত। অভিষেকে প্রথম ইনিংসে শূন্যর পর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি—বিরল এক অভিজ্ঞতাই হলো এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের।
জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি নিয়েছেন ৬ উইকেট। ৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন মুজারাবানি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ১৫৭ ও ১১৩.৫ ওভারে ৩৬৩ (রহমত ১৩৯, ইসমত ১০১; মুজারাবানি ৬/৯৫, এনগারাভা ৩/৭৬)।
জিম্বাবুয়ে: ২৪৩ ও ৬৬ ওভারে ২০৫/৮ (আরভিন ৫৩*, কারেন ৩৮, রাজা ৩৮; রশিদ ৬/৬৬, জিয়া ২/৪৪)।