তারেক ও জোবায়দার মামলা প্রশ্নে রুল শুনানি ২৯ মে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হিসাব বিবরণীতে সম্পদ গোপন করার অভিযোগে মামলা দায়ের ও এর প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমান ২০০৭ সালে পৃথক রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরই নভেম্বরে হাইকোর্ট রুল দেন। এই রুলের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২৯ মে দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ বুধবার রুল শুনানির জন্য এই দিন ঠিক করেন।
আদালতে তারেক ও জোবায়দার পক্ষে আইনজীবী কায়সার কামাল, দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলা দায়ের ও জরুরি বিধিতে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পৃথক রিট করেন। ২০০৭ সালে হাইকোর্ট রুল দেন। রুল শুনানির জন্য বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। রুল শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তবে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শুনানি করবেন উল্লেখ করে আইনজীবী কায়সার কামাল সময় চান। পরে আদালত ২৯ মে রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হিসাব বিবরণীতে সম্পদ গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় ওই মামলা করে দুদক। এ মামলায় তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকেও আসামি করা হয়। মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়।