বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দম্পতির বড় ছেলে তারেক রহমান। তাঁর ডাক নাম পিনু। তবে তিনি তারেক জিয়া নামেই বেশি পরিচিত। ২০০৯ সালে দলের পঞ্চম কাউন্সিলে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, এর আগে ২০০২ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তারেক রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। সে সময় তারেক রহমানের সরকারের কোনো দায়িত্বশীল পদে না থেকেও বনানীর হাওয়া ভবন থেকে ‘ছায়া সরকার’ চালাতেন বলে মনে করা হতো।
বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির অভিযোগে তারেক রহমানকে আটক করা হয়। দুর্নীতি ও অবৈধভাবে বিদেশে অর্থপাচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলাও দায়ের করা হয়। সে সময় তাঁকে নির্যাতন করে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপি অভিযোগ করে আসছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সব মামলায় জামিন নিয়ে তিনি ‘চিকিত্সার জন্য’ লন্ডনে যান। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একাধিক মামলায় তাঁর জামিন বাতিল করে পলাতক দেখিয়ে বিচার কাজ শুরু করে। তবে বহুল আলোচিত অর্থপাচার মামলায় নিম্ন আদালতে তারেক বেকসুর খালাস পান।
লন্ডনে ২০১৪ সালে এক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেন তারেক। ওই বছরের ২৬ মার্চ এক অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, তাঁর পিতা জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। পরবর্তী সময়ে তারেক তাঁর এই দাবির সপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি-তথ্য তুলে ধরে একটি বইও সম্পাদনা করেন।
তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। তিনি শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।