শুধু জিয়া পরিবারের বধূ হওয়ায় জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা, পরোয়ানা: বিএনপি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এবং তাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সমালোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে এই ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। দলের সর্বোচ্চ নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, জোবায়দা রহমান একেবারেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তিনি একজন পেশাজীবী মেধাবী চিকিৎসক। শুধু জিয়া পরিবারের বধূ হওয়ায় রাজনৈতিক কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে অসংখ্য মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নিন্দা জানিয়ে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে দুদকের করা একটি মামলায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামান আজ এ আদেশ দেন।
আইনজীবী সূত্র বলছে, রাজধানীর কাফরুল থানায় করা এ মামলায় তারেক ও জোবায়দা ছাড়াও তারেকের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে এ মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে জোবায়দা রহমান হাইকোর্টে আবেদন করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার আবেদন খারিজ করে রায় দেন। মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। দুদকের মামলা বাতিলে জোবায়দার করা আবেদন (লিভ টু আপিল) গত ১৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। আজ তারেক ও জোবায়দাকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
‘সামনের বছর দুর্ভিক্ষ হতে পারে’—বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এ উক্তিতে এটা স্পষ্ট হয় যে সরকার আপত্কালীন খাদ্য মজুত করতে ব্যর্থ হয়েছে। খাদ্যশস্য আমদানি গত ৪ মাসে প্রায় ৩৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় তাঁদের দলের স্থায়ী কমিটির সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।