মনের বাক্স
বন্ধু তুমি শত্রু তুমি
প্রিয় নীল, কী অদ্ভুতভাবে আমাদের পরিচয়। শুরু সহপাঠী হিসেবে, তারপর হয় শত্রুতা ক্লাসে প্রতিযোগী হিসেবে। তারপর একে অপরের থেকে দূরে চলে যাই, বছর দুয়েক পর আবার পরিচয়! তখন সম্পর্কটা আবার নতুন পরিচিতি পায়, ‘ভালোবাসা’ নামে। ভালোবাসি নীল, অনেক ভালোবাসি। কিন্তু আমি যে সেটা কেন প্রকাশ করতে পারি না, জানি না। শুধু কষ্ট দিই না? কিন্তু অনেক ভালোবাসি তোমাকে। আমার এই লেখা তোমার চোখে পড়লে বুঝে নাও তোমার পাগলীটার মনের অবস্থা।
সুমাইয়া, যশোর
আব্বুকে ভালোবাসি
তোমাকে অনেক ভালোবাসি আব্বু। কথাটা তোমাকে কখনো বলা হয়নি। আজ কেন জানি বলতে ইচ্ছা করছে। ছোটবেলায় মনে হতো তুমি ভীষণ রাগী। সবার থেকে আলাদা। আসলে সব সময় তোমার বাইরের রাগটাই দেখেছি, ভেতরকার তুমিকে চিনতে পারিনি কখনো। তোমার সঙ্গে কাটানো হাজারো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে আজ। ছোটবেলায় তোমার দেওয়া সেই সোনালি চুলের বিনুনি করা পুতুলটার কথা ভীষণ মনে পড়ছে। এই যে শীতের সকালে আমি একা একা পড়ছিলাম বসে। হঠাৎ তুমি আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে এলে।
তোমার দেওয়া চাদরটায় যে কী ওম! জানো আব্বু, কত দিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তোমার চশমা পরে মিছিমিছি বাবা সাজার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তোমার মতো হতে পারিনি। পাহাড়কে ভালোবেসে পাহাড়ের মায়ায় তুমি সারা জীবন ওখানেই থেকে গেলে বাবা। তুমি ভালো থেকো। তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি।
নাছমিন হিলমুন, গাজীপুর
ভালোবাসি হয়নি বলা
তোমাকে আমি প্রথম দেখি ফেসবুকে, তারপর বন্ধু হই। পরে জানতে পারি, তুমি আমাদের সঙ্গে পড়ো। তোমাকে খুব ভালো লেগেছে। সরাসরি তখনো দেখা হয়নি। তোমার নীল শাড়ি পরা ছবিটা দেখে তোমার নাম দিয়েছি নীলাবতী।
তোমার অপরূপ চোখে যখন চশমা পরো, তখন মায়ায় আরও আগলে রাখে আমাকে। হঠাৎ একদিন তোমাকে কলেজে দেখি। খানিকটা ভয় জেগেছিল। ফরম পূরণের সময় হাত কাঁপছিল। তারপর আর দেখা হয়নি, তোমার ঠিকানাও জানা নেই। ঠিকানা পেলে মাঝেমধ্যে তোমার বাসার সামনে দিয়ে চলাচল করতাম তোমাকে একনজর দেখার জন্য। ভালোবাসি বলব, এই সাহসটুকু দেখাইনি কখনো। তবে কোনো একদিন হঠাৎ তোমার সামনে দাঁড়িয়ে বলব, তোমাকে ভালোবাসি।
মীর ফয়সল আহমেদ, হবিগঞ্জ
ভালো থাক প্রিয়দর্শিনী
আজ প্রায় চার বছর, তোর সঙ্গে দেখা হয় না। তবু এক দিনের জন্যও তোকে ভুলতে পারিনি। এখনো চোখ বন্ধ করলে তোর মধুমতী মুখখানা ভেসে আসে আমার চোখের সামনে। এ জীবনে হয়তো তোকে আর ভুলতে পারব না। বেদনার অনন্ত নীল সাগরেই ডুবে মরতে হবে। চার বছর আগে বড় ভালোবেসে তোর হাতে তুলে দিয়েছিলাম হাজারখানেক লাল গোলাপ, আর তুই আমাকে দিয়েছিলি শুধুই কাঁটার বিষম যন্ত্রণা। আমি আজও সেই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। তোকে খুব দেখতে ইচ্ছা করে। যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস।
নূরে আলম সিদ্দিকী,আজিমপুর, ঢাকা
নতুন বছর হোক ভালোবাসার
তোমাকে না দেখে ভালোবাসার যন্ত্রণা যে এত দীর্ঘ হবে, বুঝি না। করোনাভাইরাস আমার মতো আরও অনেক প্রেমিককে দূরে ঠেলে দিয়েছে প্রেমিকার কাছ থেকে। সেই যে কয়েক দিনের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে উত্তরবঙ্গে ফিরলাম, দক্ষিণবঙ্গে চলে যাওয়া আমার প্রেমিকাকে আর দেখতে দিল না। ৯ মাসের এই সময়কে তাই এক কোটি বছর মনে হয়। প্রেমিকার পাশাপাশি না বসে এত দিন কে থাকতে পারে বলুন? আমারও তাই করুণ দশা। নতুন বছর তাই হোক প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে আসার বছর। হাত ধরে মুখোমুখি বসার বছর।
শেখর, কুড়িগ্রাম
তিলালংকার
তোমার ওই ছোট্ট তিলে যেন সহস্র কোটি বছরের ভালোবাসা জমাট বেঁধে আছে। শতকোটি নক্ষত্র যেন নিমেষেই লুটিয়ে পড়ে ওই ছোট্ট বিন্দুতে। ওই ছোট্ট কালো তিলে কী গভীর মায়া! কী আশ্চর্য শক্তি। যেন পৃথিবীর সবকিছু বিলীন হয়ে যায় ওই একটি বিন্দুতে। কী ভীষণ ভালোবাসার তুলিতে বিধাতা সৃষ্টি করেছেন তিলের অলংকার।
মুকুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
মনের বাক্সে পাঠানো যাবে ই–মেইলে, ডাকে এবং প্র অধুনার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে।
ই–মেইল ঠিকানা: [email protected] (সাবজেক্ট হিসেবে লিখুন ‘মনের বাক্স’)
ডাক ঠিকানা: প্র অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫। (খামের ওপর লিখুন ‘মনের বাক্স’)
ফেসবুক পেজ: fb.com/Adhuna.PA