এক যুগ পেরিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব
আজ আগস্ট মাসের প্রথম রোববার—বন্ধু দিবস। স্বপ্ন নিয়ের আহ্বানে পাঠকেরা লিখে পাঠিয়েছেন তাঁদের সেই সব বন্ধুর কথা, যাঁরা দুঃসময়ে বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত।
বন্ধুত্বের শুরুটা ছিল ২০০৯ সালে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি তখন। যদিও পরিচয় ছিল আরও দুই বছর আগে থেকেই। তবে ভাবের আদান–প্রদানে একে অপরকে চেনাজানা ছিল না। শুরুর দিকে আমরা বন্ধু কম, প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম বেশি। একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলেছে প্রায় এক দশক। তারপরও কাকতালীয়ভাবে স্কুলজীবনে পুরোটা সময় তিনজন ছিলাম পাশাপাশি। সাফায়েত মাহমুদ ও আহনাফ শাহরিয়ারের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত সব কটি গণ পরীক্ষা একসঙ্গে সম্পন্ন করে আমরা হয়েছিলাম ‘ডিএসটি’ জোট।
রাজশাহী কলেজেও পড়েছি একসঙ্গে। বলা হয়, দুঃসময়ে নাকি সঠিক বন্ধু চেনা যায়। জীবনের কঠিন সময়েও ওদের পাশে পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। অপ্রত্যাশিত কষ্টের মুহূর্তে যখন ভেঙে পড়েছিলাম, হঠাৎ করে যখন ঘিরে ধরেছিল হতাশা, তখন একে অপরকে সাহস দিয়েছি আমরা। ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি পেয়েছিলাম সেখান থেকেই। বলতেই হয় জেএসসিতে বৃত্তি না পাওয়া, উচ্চমাধ্যমিকে রসায়ন পরীক্ষার চাপ আর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারার আক্ষেপের মুহূর্তগুলোর কথা। সুখের সময়ের মতোই দুঃসময়েও হেরে যায়নি বন্ধুত্ব।