এক ঘণ্টায় মন ভালো করার টোটকা
আপনার কি কিছুই ভালো লাগছে না? মাঝেমধ্যে আমাদের সবারই কমবেশি এ রকম হয়, মনে হয় কোনো কাজের ঠিক এনার্জি পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো আপনি অনেকক্ষণ ধরে ফোন স্ক্রল করে যাচ্ছেন, কিন্তু কেউ যদি হঠাৎ জিজ্ঞাসা করে আপনি কী দেখলেন, বলতে পারবেন না। অর্থাৎ মন অন্যখানে। সেই অন্য যে কোনখানে, সেটারও ঠিক নেই। অথচ আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করতে হবে। এক ঘণ্টা নিজেকে সময় দিন। জেনে নেওয়া যাক এই এক ঘণ্টায় আপনি কী করবেন।
‘ডু নট ডিস্টার্ব’
তিন মিনিট হাতের ফোনটাকে বিরতি দিন। ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মুডে রাখুন। এই তিন মিনিট আপনি কিছুই করবেন না। হ্যাঁ, কিছু না করেও সময় কাটানো যায়। এই তিন মিনিটে আপনি অন্য সবকিছুর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন।
৫ মিনিটের ভালো কাজ
এবার কোনো একটা ভালো কাজ দিয়ে শুরু করুন। হতে পারে আপনার ওয়ার্ডরোব থেকে এমন তিনটা পোশাক বের করলেন, যেগুলো এখন আর নিয়মিত পরা হয় না। ছোট বা বড় হয়ে গেছে। অথবা এখন আর ভালো লাগে না। পোশাক দুটি কাউকে দিয়ে দিলেন। অথবা গাছে পানি দিলেন। ছাদে, বারান্দায় কিছু ভাত ছিটিয়ে দিলেন পাখিদের খাওয়ার জন্য। অথবা অনলাইনে কোনো একটা প্রতিষ্ঠানে কিছু টাকা দিলেন। এ রকম ‘ভালো কাজের’ মধ্য দিয়ে আপনার ভেতরে একধরনের ইতিবাচক এনার্জি কাজ করবে। আপনি উদ্যম পাবেন।
১৫ মিনিট বাইরে কাটান
১৫ মিনিটের জন্য আপনি ঘর থেকে বের হয়ে যান। ৫ মিনিটের ইতিবাচক কাজটা আপনি যদি বাইরে করতে চান, তাহলে ২০ মিনিটের জন্য বের হয়ে যান। রাস্তার সামনে থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারেন। প্রতিবেশীর খোঁজ নিতে পারেন। বাসার সামনে একটা গাছ লাগাতে পারেন। রাস্তার কুকুরকে খাবার দিতে পারেন। বাকি সময় রোদ আর প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। এক কাপ চা বা কফি খেতে পারেন।
১০ মিনিট ধ্যান
এরপর ঘরে ফিরে ১০ মিনিট ধ্যান করুন। বলা হয়, ভালো চিন্তা, প্রার্থনা বা ধ্যান আমাদের আত্মার খাবার।
৫ মিনিট জার্নাল
পরের পাঁচ মিনিটে লিখে ফেলুন কোন তিনটা জিনিসের জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এই অনুশীলনটা যদি আপনি প্রতিদিন করেন, কেবল এই ছোট্ট পাঁচ মিনিটের কাজ আপনার ভেতরে দীর্ঘস্থায়ী, গভীর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি প্রতিদিন দিনে ঘটে যাওয়া অন্তত একটা ইতিবাচক ঘটনার কথা লিখবেন। ভালো হয়, যদি তিনটা করে লেখার অভ্যাস করেন।
১০ মিনিট ‘মুভ ইয়োর বডি’
ব্যায়াম করুন। পুশআপ, ওয়েট লিফটিং, কার্ডিও, জুম্বা, দৌড়াদৌড়ি, সাঁতার, সাইকেল চালানো—যেকোনো কিছুই হতে পারে। ব্যায়ামের সঙ্গে চলতে পারে মিউজিক। শর্ত হলো ঘাম ঝরাতে হবে। যাতে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান ঘামের ভেতর দিয়ে বের হয়ে যায়।
১২ মিনিটে স্নান
এরপর স্নান সেরে নিন। স্নানের সময় চলতে পারে হালকা মিউজিক।
এ সবকিছু ছাড়াও আপনি পুরোনো বন্ধু বা মাকে ফোন করে গল্প করতে পারেন। নিজেকে একটা ‘কফি ট্রিট’ দিতে পারেন। নতুন একটা রাস্তায় হেঁটে আসতে পারেন। কোনো একটা গিফট শপে ঢুঁ দিয়ে নিজেকে একটা কিছু উপহারও দিতে পারেন। স্নান সেরে হালকা স্ন্যাকস আর চা খেয়ে আপনি বসতে পারেন কাজে।