বাগান করেই ফিট থাকুন

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ বলছে, ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট বাগানে কাজ করা মাঝারি মানের অ্যারোবিক ব্যায়ামের সমপরিমাণ, যা পাঁচ মাইল বাইক চালানো বা দুই মাইল হাঁটার সমান। বাগানে কাজ করা একধরনের শারীরিক পরিশ্রমও বটে। আসুন জেনে নিই এই কাজ করে কী কী উপকার হতে পারে।

৩০ থেকে ৪৫ মিনিট বাগানে কাজ করা মাঝারি মানের অ্যারোবিক ব্যায়ামের সমপরিমাণমডেল: উর্ভি। ছবি: সুমন ইউসুফ

প্রকৃতির সান্নিধ্য আমাদের বিষণ্নতা ও উদ্বেগ কমায়। সপ্তাহে অন্তত এক দিন কিছুটা সময় গভীরভাবে বাগানে বা প্রকৃতির কাছে কাটালে মানুষ আগের চেয়ে সুখী বোধ করে, কেননা ফুল, লতা, পাতা গাছের একধরনের ইতিবাচক প্রভাব আছে আমাদের মস্তিষ্কের ওপর।

তাই ছুটির দিনটা অলসভাবে না কাটিয়ে ঘরের এক কোণে বা বারান্দায় কয়েকটা গাছ লাগান, গাছের পরিচর্যা করুন। ইট-কাঠের এই শহরে ছোট্ট একটা বাগান হতে পারে অনাবিল আনন্দের উৎস।

ওজন কমানোর জন্য ক্যালরি ক্ষয় জরুরি। বাগানে কাজ করে আপনি বেশ খানিকটা ক্যালরি ক্ষয় করতে পারেন। খুনতি দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি বা গর্ত করতে আপনার খরচ হবে ১৯৭ ক্যালরির মতো, তারপর গাছ লাগাতে বা গাছের পরিচর্যা করতে আরও ১৭৭ ক্যালরি, আগাছা পরিষ্কার করতে ১৫৭ ক্যালরি।

বাগানে কাজ করে আপনি বেশ খানিকটা ক্যালরি ক্ষয় করতে পারেন
মডেল: উর্ভি। ছবি: সুমন ইউসুফ

বাগানে কাজ করার সময় শরীরের বড় পেশিগুলো ব্যবহৃত হয়। এর ফলে সন্ধিগুলোর শক্তি ও নমনীয়তা বাড়ে, রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা, চর্বি ইত্যাদি কমে, হাড় ক্ষয় রোধ করে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

আরও পড়ুন

বাগানে কাজ করলে মানসিক চাপ কমে—এটা গবেষণালব্ধ তথ্য। একই সঙ্গে এটা রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায়। গাছের গোড়ায় বা টবের মাটিতে থাকে ‘মাইকোব্যাকটেরিয়াম ভাকা’ নামের এক ব্যাকটেরিয়া, যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপ্ত করে। এ ছাড়া এটি মস্তিষ্কের সেরোটোনিন নামের রাসায়নিকের নিঃসরণও বাড়ায়, যা মেজাজ ও মন ভালো রাখে।

সূত্র: ওয়েবএমডি

আরও পড়ুন