কেন ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করবেন
বেশ কয়েক বছর ধরে সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও বিভিন্ন গেজেটের ব্যবহার বাড়ছে। প্রতিদিনের সুস্থতার জন্য ফিটনেস ট্র্যাকার এমনই একটি গেজেট। গবেষণায় দেখা গেছে, আপনার শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পাঁচ হাজার স্টেপ হাঁটা খুবই প্রয়োজন, যা আপনি সহজে আপনার ফিটনেস ট্র্যাকারে লক্ষ রাখতে পারেন। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আপনি যদি প্রতিদিন ১০ হাজার স্টেপ হাঁটেন, তাহলে সেটা খুব দ্রুতই ফল দেবে।
ফিটনেস ট্র্যাকারের সুবিধা
জানা যায় প্রতিদিনের কার্যকলাপ: ফিটনেস ট্র্যাকার আপনার প্রতিদিনের কার্যকলাপের তথ্য প্রদান করে—প্রতিদিন কত স্টেপ হাঁটলেন, কতটুকু দৌড়ালেন, কতক্ষণ ব্যায়াম করলেন, কতখানি দূরত্ব হাঁটলেন, কতখানি ক্যালরি বার্ন হলো। এমন তথ্যগুলো আপনাকে আরও সচেতন করে এবং আপনার শারীরিক সুস্থতার জন্য ভালো অভ্যাসগুলো চর্চায় উৎসাহিত করে।
হৃৎস্পন্দন পর্যবেক্ষণ: অনেক ফিটনেস ট্র্যাকার আপনার হৃৎস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করে। ব্যায়ামের সময় হার্টরেট নিরীক্ষণ করে আপনার ওয়ার্কআউটগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটা ঠিক করতে আপনাকে সাহায্য করে।
ঘুম পর্যবেক্ষণ: কিছু ফিটনেস ট্র্যাকার আপনার ঘুমের ধরন নিরীক্ষণ করতে পারে। আপনার ঘুমের পুরো সময় কত, গুণগত মান কেমন, তার ডেটা প্রদান করে আপনাকে ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি উন্নত করতে সাহায্য করবে।
ওজন কমানো: আপনি যদি শারীরিক স্থূলতায় ভোগেন, তাহলে ওজন কমাতেও সাহায্য করে ফিটনেস ট্র্যাকার। আপনার লক্ষ্যগুলো ঠিক করে প্রতিদিন কতখানি হাঁটবেন, কতখানি ব্যায়াম করবেন, দৈনিক কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করতে চান, সেই ইনপুটগুলো ফিটনেস ট্র্যাকারে দিলে সেটি আপনাকে ওয়ার্কআউট প্ল্যানটি ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
ফিটনেস ট্র্যাকারের অসুবিধা
খরচ: উন্নত মানের ফিটনেস ট্র্যাকারগুলো তুলনামূলকভাবে বেশ দামি।
নির্ভুলতা: অনেক সময় ধাপ গণনা, ক্যালরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু ভুল তথ্য দিতে পারে।
নির্ভরতা: অনেক সময় অনেক ব্যবহারকারী তাঁদের ফিটনেস ট্র্যাকারের ওপর অত্যধিক নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। দৈনন্দিন স্টেপ অথবা ক্যালরি লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারলে তা থেকে চাপ, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়।
ব্যাটারি লাইফ: মডেলের ওপর নির্ভর করে ফিটনেস ট্র্যাকারগুলো ঘন ঘন চার্জের প্রয়োজন হতে পারে, যা অনেক সময় ব্যবহারকারীর জন্য অসুবিধাজনক হয়।
ডা. নওসাবাহ্ নূর সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, পপুলার মেডিকেল কলেজ