পবিত্র রমজানে কি ব্যায়াম করা যাবে

হালকা ও মাঝারি ব্যায়াম রোজায় শরীরকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখেছবি: পেক্সেলস

অনেকেই বছরজুড়ে ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করে অভ্যস্ত। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগী, হৃদ্‌রোগী ও স্থূলতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা তাঁদের নিয়মিত ব্যায়াম ছাড়তে চান না। তবে পবিত্র রমজানে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সতর্কতা ও কৌশল অনুসরণ করা প্রয়োজন।

রোজায় ব্যায়ামের সঠিক সময় সন্ধ্যার পর। দিনে ব্যায়াম করলে পানিশূন্যতার আশঙ্কা থাকে। তবে মৃদু ব্যায়াম বা লো ইনটেনসিটির কার্ডিও বা স্ট্রেচিং করা যেতে পারে সকালের দিকে। এ সময় ভারী ব্যায়াম না করাই ভালো। কারণ, শরীরে পানির অভাব থাকে। ইফতারের দেড়–দুই ঘণ্টা পর শরীর কিছুটা এনার্জি পায়। তাই এ সময় ভারী ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। স্ট্রেংথ ট্রেনিং, কার্ডিও ও হাই-ইনটেনসিটি ব্যায়াম এ সময় করা ভালো। সাহ্‌রির আগে (ফজরের আগে বা তাহাজ্জুদের সময়) কিছুটা লো-ইনটেনসিটি ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করা যেতে পারে।

রোজায় ব্যায়ামের ধরন

  • ওয়াকিং (৩০-৪৫ মিনিট)।

  • যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং।

  • সাইক্লিং (লো-ইনটেনসিটি)।

  • বডি ওয়েট এক্সারসাইজ (পুশ আপ, স্কোয়াট, লাংস, প্ল্যাঙ্ক)।

  • ভারী ব্যায়াম (শক্তি বৃদ্ধির জন্য): ওজন তোলা (স্ট্রেংথ ট্রেনিং), রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড এক্সারসাইজ।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন ইফতার ও সাহ্‌রির মাঝে, যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়।

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ভালো ফ্যাট গ্রহণ করুন।

  • রোজায় অতিরিক্ত ও ভারী ব্যায়াম না করে হালকা এবং মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করুন।

  • শরীর দুর্বল বা ক্লান্ত লাগলে ব্যায়াম কমিয়ে দিন বা এড়িয়ে যান।

  • পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন, যাতে শরীর ক্লান্ত না হয়।

হালকা ও মাঝারি ব্যায়াম রোজায় শরীরকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখে। ব্যায়াম ইফতারের পর করা ভালো, যাতে শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি পায় ও পানিশূন্যতা না হয়।

এম ইয়াছিন আলী, ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা