রোজ ১০ হাজার কদম হাঁটতে যা করবেন
প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটা নিঃসন্দেহে দারুণ অভ্যাস। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিজেকে সচল রাখা জরুরি। হাঁটার জন্য কোনো উপকরণ লাগে না। ঠিকঠাক হাঁটার উপযোগী এক জোড়া জুতা থাকলেই চলে। হাঁটার জন্য বিশাল জায়গা না থাকলেও চলবে। ঘরের মধ্যে বা বারান্দা, ছাদেও হাঁটতে পারেন দুই বেলা।
হাঁটলে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। রক্তচাপ ও রক্তের সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। স্ট্রোক, হৃদ্রোগ ও দীর্ঘমেয়াদি কিডনির ঝুঁকি কমে। বলা হয়, এসব উপকার পেতে রোজ ১০ হাজার কদম হাঁটা উচিত। ১০ হাজার কদম হাঁটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।
প্রথমে একটা মোটামুটি হিসাব করে দেখুন, আপনি রোজ কত কদম হাঁটেন। আজকাল মুঠোফোনে বিভিন্ন অ্যাপস আছে, যা দিন শেষে নিজে থেকেই আপনাকে এই হিসাব দিয়ে দেবে। হাঁটাহাঁটির পরিমাণ বাড়াতে হলে বর্তমান অবস্থা থেকে প্রথমে এক হাজার কদম বাড়াতে চেষ্টা করুন। এই প্রচেষ্টা সফল হলে দুই সপ্তাহ পর আরও এক হাজার কদম বাড়ান। এভাবে ধাপে ধাপে আপনি ১০ হাজার কদমের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে হাঁটার মাত্রা বাড়ানো যায়। এমন কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক—
১. সিঁড়ির ব্যবহার একেবারে বাদ দেবেন না। বহুতল ভবনের কাঙ্ক্ষিত তলায় পৌঁছানোর দু–একতলা আগেই লিফট থেকে নেমে পড়তে পারেন। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বেশি কষ্ট হলে অন্তত সিঁড়ি দিয়ে নামুন।
২. গন্তব্যের কিছু আগেই যানবাহন থেকে নেমে পড়ুন। যানবাহনে ওঠার আগেও খানিকটা পথ হেঁটে যেতে পারেন।
৩. পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আশপাশে ঘুরতে যান। পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলাধুলা করুন। সম্ভব হলে ওদের নিয়ে হাঁটতে যেতে পারেন।
৪. কর্মস্থলে সব কাজের কথা ই–মেইল না করে কিছু কথা বলতে সহকর্মীর ডেস্কে যেতে পারেন। ই-মেইল পাঠানোর পরও কিন্তু আপনি উঠে তাঁর কাছে যেতে পারেন, গিয়ে দুটি কথা বলতে পারেন।
৫. কাজের আলোচনার জন্য সব সময় চেয়ার–টেবিলেরও প্রয়োজন নেই। দুজন মানুষ হাঁটতে হাঁটতেই নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলাপ করে ফেলতে পারেন।
৬. কাজের ফাঁকে যতটা সময় পাবেন, কাজের জায়গাতেই একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
৭. কোথাও অপেক্ষা করতে হলে বসে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন। ফোনে কথা বলার সময়ও পায়চারি করা যায়।
৮. বাড়িতে কোনো দ্রুত লয়ের শব্দের সঙ্গে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। l