সুপ্রিম কোর্ট আশাহত করলেন বিরোধীদের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের একটি অভিযোগও নির্বাচন কমিশন গ্রাহ্য করেননি। বিরোধীরা এতে আশাহত। এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আশাহত করলেন বিরোধীদের। খারিজ করে দিলেন ২১ বিরোধী দলের আরজি। ওই বিরোধী দলগুলো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেছিল, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারচুপি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তত ২৫ শতাংশ ‘ভিভিপ্যাট’ মেশিনের সঙ্গে ইভিএম পরীক্ষা করে দেখা হোক। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট দুই মিনিটের মধ্যেই এই আরজি খারিজ করে দেন।
ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ভারতে নতুন নয়। কারচুপি যে করা হচ্ছে না, তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ইভিএমের সঙ্গে একটি করে ‘ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল’ বা ‘ভিভিপ্যাট’ মেশিন জুড়ে দিয়েছে। ইভিএমে বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার পর সেটা সঠিক প্রতীকে পড়ছে কি না, তা এই ভিভিপ্যাট মেশিন জানিয়ে দেবে। বোতাম টেপার পর ওই মেশিনে সংশ্লিষ্ট প্রতীকের ছবি ভেসে উঠবে একটি কাগজে। কাগজটি ওই মেশিনেই থাকবে। ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইভিএম ও ভিভিপ্যাট খতিয়ে দেখা হবে প্রতিটি ভোট ঠিক প্রতীকে পড়ল কি না।
নির্বাচন কমিশন প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি করে বুথের ভিভিপ্যাট মেশিন বেছে নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু ভোট শুরুর আগে ২১ বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টে আরজি জানায়, ৫০ শতাংশ বুথের ভিভিপ্যাট মেশিন মিলিয়ে দেখার। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন, ৫০ শতাংশ নয়, নির্বাচন কমিশন অন্তত ৫টা করে বুথের দুই মেশিন পরীক্ষা করুক। এরপর ভোট শুরু হয়। প্রতি দফায় একাধিক কেন্দ্র থেকে ইভিএম খারাপ হওয়ার খবর আসতে থাকায় তৃতীয় দফার ভোটের পর ২১ দল ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা বলে, ৫০ না হলেও অন্তত ২৫ শতাংশ মেশিন পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হোক। মঙ্গলবার আবেদন শোনামাত্র প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। বলেন, একই আবেদন বারবার শোনার মানে হয় না।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুথপ্রতি ৫টি করে ভিভিপ্যাট ও ইভিএম মিলিয়ে দেখতে হলে ভোটের ফল প্রকাশে অন্তত চার ঘণ্টা দেরি হবে। দাবি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ মেশিন খতিয়ে দেখতে হলে ফল প্রকাশে দেরি হতো চার দিন।