দেশের চোর–ডাকাতগুলোর কলিজা বড়: আফজাল হোসেন
নন্দিত অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন লেখালেখিও করেন। প্রায় সময়ই নানা ইস্যু তাঁর লেখায় উঠে আসে। আজ সোমবারও তিনি লিখলেন। এবারের লেখায় তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘দেশ অনেক বদলে গেছে। বদলে গেছে বহু মানুষও।’
আফজাল হোসেনের লেখায় উঠে এসেছে চেষ্টা করেও মানুষের ভাগ্য না বদলানোর বিষয়। ফেসবুক পোস্টে আফজাল হোসেন লিখেছেন, ‘একটু ভালো জীবনের আশায় শত চেষ্টা করেও কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য বা কপাল বদলায়নি, বদলেছে কপালের খানিকটা ওপরের দিক। হয় কপালে পড়েছে ভাঁজ অথবা মাথার চুল হতাশার ঠ্যালা-গুঁতোয় হয়েছে উধাও।’
কষ্ট ও আনন্দ নিয়েই মানুষের জীবন। এসবের মধ্যে মানুষ শান্তি খোঁজে। আফজাল তাঁর কথায় এই দিকটা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘কষ্টের জীবন নিয়ে মানুষের অত ক্ষোভ-অশান্তি ছিল না। ক্ষোভ আর অশান্তি মন্দ মানুষদের নিয়ে—যাদের চাওয়া অশেষ, পাওয়ারও শেষ নেই। ঘোরতর অন্যায় তারা হাসতে হাসতে করতে পারে। অথচ যারা সাধারণ—অন্যায়ের দিকে এক পা বাড়াতে কেঁপে মরে। ভাবে, অন্যায় যদি করি—দেশের আইন গলা চেপে ধরবে, আবার ওপরওয়ালা শেষবিচারের দিন একচুলও ছাড় দেবেন না।’
ফেসবুক পোস্টের একপর্যায়ে আফজাল হোসেন লিখেছেন, ‘দেশের চোর-ডাকাতগুলোর কলিজা বড়। তারা দেশের আইন বা আল্লাহ—কিছুরই ভয় করে না। ভাবে, আমি আমরা সবাইকে তুষ্ট করেই যা করার করছি। অন্যায়কারী অন্যায় একা করে না, অনেককে দিয়ে-থুয়েই করে—সেটাই তাদের সাহস ও শক্তি জোগায়।’
আফজাল হোসেনের লেখায় এই সময়ে ভালো মানুষের দীর্ঘশ্বাস উঠে আসা এবং চোর, ডাকাত আর লুটেরাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও উঠে এসেছে। তিনি লিখেছেন, ‘ভালো মানুষেরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে—আমাদের ভয়ডর এত কেন! চোর, ডাকাত, লুটেরারা সংখ্যায় বাড়তে বাড়তে নিকট পর্যন্ত এসে গেছে—সেই তাপে কারও কারও মনে হয়, সবাই করছে যখন, এক-আধটু নিজে করলে অসুবিধা কী! ওই ভাবা পর্যন্তই। ঠকতে ঠকতে জীবন তলানিতে পৌঁছেছে, তবু একদল মানুষ ভালো হয়ে থাকবার বাসনাটা টিকিয়ে রাখে। সে চেষ্টা কি সমাদর পায়? পায় না।’