মানিকগঞ্জে উড়োজাহাজ তৈরি করা সেই তরুণের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
নিজের তৈরি উড়োজাহাজে আকাশে ওড়া মানিকগঞ্জের তরুণ জুলহাস মোল্লার (২৮) পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর নির্দেশে আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জে জুলহাস মোল্লার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে প্রেরণা জোগাতে এ সময় ৫০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দেন তাঁরা।
বিএনপি নেত্রী আফরোজা খানম বলেন, নিজের উদ্ভাবনী শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে উড়োজাহাজ তৈরি করেছেন তরুণ জুলহাস। এ ধরনের গবেষণামূলক কাজে তাঁকে উৎসাহিত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাঁরা জুলহাসের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
জুলহাস বলেন, ‘আমার এই উড়োজাহাজ এত মানুষ দেখবে, তা কল্পনাও করিনি। তারেক রহমান স্যার অর্থসহায়তা দিয়ে আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন। তাঁর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে উড়োজাহাজ তৈরি করা যায়, সে বিষয়ে আমি কাজ করতে চাই।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জুলহাস জাফরগঞ্জ এলাকায় যমুনা নদীর চরে নিজের তৈরি উড়োজাহাজে চড়ে উড়ে বেড়ান। জেলা প্রশাসকসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁর তৈরি উড়োজাহাজ ও উড়োজাহাজ উড্ডয়নের দৃশ্য দেখতে সেখানে আসেন। স্থানীয় হাজারো উৎসুক লোকজনও তা দেখতে সেখানে ভিড় করেন।
জুলহাস বলেন, তিন বছর গবেষণা এবং এক বছর সময় লেগেছে উড়োজাহাজটি তৈরি করতে। সব মিলিয়ে প্রায় আট লাখ টাকা খরচ হয়েছে উড়োজাহাজটি তৈরিতে। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা দিয়ে উড়োজাহাজটির অবকাঠামো তৈরি। ৭ হর্সপাওয়ার শক্তিসম্পন্ন পানির পাম্প ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করেছেন তিনি।
গতকাল জুলহাস মোল্লার নিজের তৈরি উড়োজাহাজে আকাশে উড়ে বেড়ানোর এ ঘটনা প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর তিনি প্রতিনিধির মাধ্যমে অর্থসহায়তা পাঠান।
জুলহাসের বাবা জলিল মোল্লার গ্রামের বাড়ি ছিল মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায়। পরে নদীভাঙনের কারণে বর্তমানে তাঁরা শিবালয় উপজেলার ষাইটঘর তেওতা এলাকায় বসবাস করছেন। ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম। জিয়নপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। তবে অর্থাভাবে আর পড়তে পারিনি। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান জুলহাস ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। অবসরে তিনি এ উড়োজাহাজ তৈরি করেন।