হরতালের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
সারা দেশে আজ রোববার হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। হরতালের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। তাঁরা সড়কের কয়েকটি স্থানে টায়ার, গাছের গুঁড়ি ও বাঁশে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে হরতাল চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছুঁড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁরা শিমরাইল ইউটার্ন এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। তাঁরা সড়কে টায়ার, বাঁশ, কাঠ, চৌকি, বেঞ্চসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা মহাসড়কের যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
হরতালকে কেন্দ্র করে শহরের ডিআইটি, চাষাঢ়া, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বিজিবি ও র্যাব।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হরতালের সমর্থনে মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভ করেছেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে ‘প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর হামলা ও হত্যার’ প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। হেফাজত নেতারা আজকের হরতাল সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সংগঠনের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদি হরতালে সংঘর্ষের কোনো ঘটনা যেন না হয়, সে জন্য সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। হেফাজতের আজকের হরতাল কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজকের হরতালে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় বাস-মিনিবাসের চলাচল অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে দূরপাল্লার পথেও বাস চালানোর কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।