সৌদি নারী অধিকারকর্মীর কারাদণ্ড
সৌদি আরবে এক নারী অধিকারকর্মীকে কারাদণ্ডদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম লুজিন আল–হাদালুলন। ৩১ বছর বয়সী এই নারী অবশ্য আড়াই বছর ধরেই কারাগারে আছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার আদায়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন লুজিন আল-হাদালুলন। ২০১৮ সালে দেশের শত্রুভাবাপন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে তাঁকেসহ আরও কয়েকজন অধিকারকর্মীকে আটক করা হয়। বর্তমানে লুজিন আল-হাদালুলনকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কারাগারে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এরই মধ্যে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার সৌদি আরবের বিশেষ অপরাধ আদালত লুজিন আল-হাদালুলনকে পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এই আদালতে সন্ত্রাসবাদী মামলা চলে থাকে। মূলত জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন ও বিদেশি অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে।
আদালতের রায়ে লুজিন আল-হাদালুলনকে ৫ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ বছর ১০ মাসের কারাবাস স্থগিত করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ও তাঁর পরিবার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা আরও বলেছেন যে লুজিন আল-হাদালুলনকে কারাগারে নির্যাতন করা হচ্ছে। যদিও এই দাবি আদালত নাকচ করে দিয়েছেন।
২০১৮ সালে সরকারিভাবে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই লুজিন আল-হাদালুলনকে আটক করা হয়েছিল। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে আসছে যে ওই ঘটনার সঙ্গে লুজিনকে আটক করার কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লুজিন আল-হাদালুলনের বিচার আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী হয়নি। গত নভেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার বিশেষ অপরাধ আদালতে স্থানান্তরের নিন্দা জানিয়েছিল। তখন অ্যামনেস্টি বলেছিল, এর মধ্য দিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের ‘নিষ্ঠুরতা ও প্রতারণা’র বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।