বিশ্বে করোনার সংক্রমণ শিগগিরই ৩ কোটি ছাড়াবে: রয়টার্স
বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আজ বৃহস্পতিবার তিন কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক সংক্রমণের গতি কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক সংক্রমণ ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৫ জন ছাড়িয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে ছড়ানোর পর এই ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন ৯ লাখ ৪০ হাজার ৬৫১ জন। অর্থাৎ মৃত্যুর সংখ্যাও শিগগিরই ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক করোনা ছড়ানোর কেন্দ্রস্থল হিসেবে এখন ভারতের ওপর চোখ রয়েছে। তবে বৈশ্বিক সংক্রমণের হিসাব ধরলে প্রায় অর্ধেক শনাক্ত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায়। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী নতুন দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে এবং মৃত্যু ১০ লাখের কাছাকাছি চলে এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন টিকার পেছনে ছুটছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনার সংক্রমণ প্রতিবছর যে পরিমাণ মারাত্মক ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ ঘটে, এর পাঁচগুণ ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সর্বোচ্চসংখ্যক সংক্রমিত রোগীর হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। দুই দেশেই করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৫০ লাখ পেরিয়েছে। গত আগস্টের মাঝামাঝি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে প্রতিদিন বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে ভারতে।
বিশ্বের ১৬ শতাংশ করোনায় সংক্রমিত রোগী এখন ভারতে। বিশ্বের মাত্র ৪ শতাংশ জনগণের দেশ হয়েও ২০ শতাংশ করোনার রোগী এখন যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত দেশ ব্রাজিল। বিশ্বের ১৫ শতাংশ করোনায় শনাক্ত রোগী আছে দেশটিতে। জনস হপকিনসের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে বাংলাদেশ আছে বিশ্বে ১৫ নম্বরে। দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৭১ জনের। মারা গেছেন ৪ হাজার ৮২৩ জন।
বিশ্বে করোনা শনাক্তের সংখ্যা আড়াই কোটি থেকে প্রায় ৩ কোটিতে আসতে মাত্র ১৮ দিন সময় লেগেছে। এর আগে ২ কোটি থেকে আড়াই কোটিতে আসতে ২০ দিন লেগেছিল আর দেড় কোটি থেকে ২ কোটিতে আসতে লেগেছিল ১৯ দিন।
কোথাও কোথাও করোনার সংক্রমণ বাড়লেও অনেক দেশেই নতুন করে বৈশ্বিক শনাক্তের হার ধীর হয়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক দেশ সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক তথ্য কম-বেশি করে, বিশেষত সীমিত পরীক্ষার ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলোতে এটা বেশি হয়।
করোনার টিকা তৈরি ও বাজারে আনার প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী বাড়তে দেখা গেছে। প্রায় ২০০টি টিকা তৈরিতে কাজ চলছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই তাঁর দেশ টিকা প্রস্তুত করে ফেলবে। অন্যদিকে চীনা একজন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ বলেছেন, নভেম্বরের শুরুতেই চীন তার জনগণের জন্য টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।