বরিস জনসন জিতে গেলেন
যুক্তরাজ্যে নির্বাচনী এলাকা আক্সব্রিজ অ্যান্ড রুইসলিপ আসনে কনজারভেটিভ দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবস্থা ছিল নড়বড়ে। তাই তাঁকে নিয়ে কিছুটা আশঙ্কা ছিল। সব আশঙ্কা উড়িয়ে নিজ আসনে বিজয় অর্জন করেছেন নির্বাচনের মূল নায়ক বরিস জনসন। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৫১ ভোট।
নির্বাচনে কনজারভেটিভরা ভালো করবেন, এমন পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। বরিসের জয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।
বরিসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার দলের প্রার্থী আলী মিলানি পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৪১ ভোট। মাত্র ৫ হাজার ৩৪ ভোটের ব্যবধানে ২০১৭ সালে এই আসনে জিতেছিলেন বরিস জনসন।
মিলানি ২০১৬ সালের গণভোটে লন্ডনের অদূরে এই আসনের ভোটারদের ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে নিজ আসনে পরাজিত করতে এবং লেবার দলীয় প্রার্থী আলী মিলানিকে বিজয়ী করতে ব্রেক্সিটবিরোধীরা ওই আসনে তুমুল প্রচার চালিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনের আরেকটি বিরল ঘটনা হলো, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেকে ভোট দেননি। জনসন সকাল ৮টায় তাঁর পোষা কুকুর নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছেই একটি ভোটকেন্দ্রে যান। এই আসনে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী নিকি এইকেন। জনসনের পূর্বসূরিরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, ডেভিড ক্যামেরন, গর্ডন ব্রাউন এবং টনি ব্লেয়ার ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হয়েও নিজ নিজ আসনে ভোট দিয়েছেন।
নিজ আসনে ফলাফল ঘোষণার পর দেওয়া বক্তব্যে বরিস জনসন বলেন, ‘ওয়ান ন্যাশন কনজারভেটিভ’ সরকারের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে মানুষ। কেউ এই নির্বাচন চায়নি। কিন্তু ব্রেক্সিটবিরোধীদের কারণে পার্লামেন্টে সৃষ্ট অচলাবস্থার জন্যই এই নির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। এখন মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে আবার তাঁদের রায় দিয়েছেন। মানুষ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোট দিতে বের হয়ে এসেছেন। পার্লামেন্টের অচলাবস্থা দূর করতে কনজারভেটিভে আস্থা রেখেছেন। তাঁরা ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। জরিপের ফল সত্যি হলে আবার প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরব। ব্রেক্সিট কার্যকরের পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তাসহ অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়েও তাঁর সরকার দ্রুত কাজ শুরু করবে বলে জানান।