টাইপরাইটার দিয়ে চিত্রকর্ম

ছবি আঁকতে টাইপরাইটার ব্যবহার করেন জেমস কুক
ছবি: এএফপি

অন্য শিল্পীরা যখন ছবি আঁকেন পেনসিল, কলম বা রং ব্যবহার করে, তখন জেমস কুক ছবি টাইপ করছেন। আক্ষরিক অর্থেই টাইপ করে ছবি আঁকেন তিনি। তুলির আঁচড় কিংবা পেনসিল বা কলমের টানের বদলে টাইপরাইটার মেশিনে লেখা বিভিন্ন বর্ণ ও সংকেত ব্যবহার করে এসব চিত্রকর্ম তৈরি করেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ এই শিল্পীর বয়স ২৫ বছর। তিনি থাকেন লন্ডনে। তাঁর স্টুডিওটিও লন্ডনে। জেমস কুকের স্টুডিওর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এএফপির খবরে। এতে বলা হয়েছে, জেমস কুক যেখানে বসে কাজ করেন, তার আশপাশে শুধু টাইপরাইটার আর টাইপরাইটার। নানান ধরনের টাইপরাইটার মেশিনে সাজানো তাঁর স্টুডিও।

জেমস কুক ২০১৪ সালে এই টাইপরাইটার মেশিনের মাধ্যমে চিত্রকর্ম তৈরি শুরু করেছেন। সে সময় তিনি কলেজে পড়তেন। ওই সময় তিনি এক শিল্পীর সঙ্গে মিশেছিলেন, যিনি কিনা এই টাইপরাইটার মেশিন দিয়ে চিত্রকর্ম তৈরি করেন ১৯২০–এর দশক থেকে। মূলত তাঁর কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এভাবে শিল্পকর্ম তৈরির দিকে ঝোঁকেন জেমস কুক।

জেমস কুকের বেশ কিছু শিল্পকর্মের ছবি প্রকাশ করেছে এএফপি। বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, হলিউডের তারকা টম হ্যাঙ্কস থেকে শুরু করে বিখ্যাত ব্যক্তিদের পোট্রেট টাইপরাইটার মেশিনে টাইপ করে তৈরি করছেন তিনি। আর এমন চিত্রকর্ম তৈরি করে ইতিমধ্যে বেশ সাড়া পেয়েছেন তিনি।

জেমন কুক প্রথমে চিন্তা করেছিলেন, এভাবে ছবি আঁকা আসলে সম্ভব নয়। এরপর নিজে কিছুদিন চেষ্টা করেন। জেমস কুক বলেন, তিনি কৌতূহল থেকে এই চর্চা শুরু করেছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে ধীরে ধীরে এই টাইপরাইটার ব্যবহার করে ছবি আঁকার প্রক্রিয়াটি রপ্ত করেন তিনি।

নিজের ছবি আঁকার অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলেছেন জেমস কুক। তিনি বলেন, প্রথমে তাঁর ধারণা ছিল, টাইপরাইটার দিয়ে ভবনের স্কেচ করা সহজ হবে। কারণ, টাইপরাইটার দিয়ে লাইন টানা যায় সহজে। কিন্তু এরপর তিনি মানুষের মুখও আঁকতে শুরু করেন। জেমস কুক বলেন, ‘টাইপরাইটার ব্যবহারের আগে আমি মানুষের মুখ আঁকতে পারতাম না। সত্যি বলতে, আমি পেনসিল ব্যবহার করে যতটা ভালো ছবি আঁকতে পারি, এখন টাইপরাইটার মেশিন দিয়ে এর চেয়ে ভালো ছবি আঁকতে পারি।’

টাইপরাইটার মেশিন দিয়ে ছবি আঁকাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চাননি জেমস কুক। কিন্তু এখন এই চিত্রকর্ম তৈরিতে বেশ উৎসাহ পাচ্ছেন তিনি। অনেকে নিজের ব্যবহৃত টাইপরাইটার মেশিন দিয়ে যাচ্ছেন জেমস কুককে।