ক্রেইগ ও’নিলের কাজ হলো গুপ্তধন খুঁজে বেড়ানো। পাহাড় থেকে সমুদ্র, জঙ্গল থেকে মরুভূমি গুপ্তধনের সন্ধানে ঘুরে বেড়ান তিনি। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁর কপালে যদিও গুপ্তধন জোটেনি, তবে খুঁজে পেয়েছেন কামানের একটি পুরোনো গোলা।
প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বলছেন, ক্রেইগ ও’নিলের খুঁজে পাওয়া কামানের গোলাটি সপ্তদশ শতকের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের (ইউপিআই) এক প্রতিবেদনে গত বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ক্রেইগ ও’নিলের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পন্টে ভেদ্রা সৈকতসংলগ্ন এলাকায়। সম্প্রতি তিনি গুপ্তধনের সন্ধান করছিলেন ফ্লোরিডার ভিলানো সৈকত এলাকায়। সেখানেই তিনি পুরোনো কামানের গোলাটির সন্ধান পান।
সংবাদমাধ্যমকে ক্রেইগ ও’নিল জানান, ভিলানো সৈকতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সন্ধান চালানোর সময় তিনি গোলাটি খুঁজে পেয়েছেন। এটি সৈকতের বালুর প্রায় চার ফুট গভীরে পোঁতা ছিল। পরে সেটি তিনি বালুর নিচ থেকে বের করে আনেন। এটির ওজন প্রায় ২০ পাউন্ড। গোলাটি বারুদভর্তি ছিল। তাই এটি নিষ্ক্রিয় করতে পুলিশ ডাকেন ক্রেইগ ও’নিল।
তবে খুঁজে পাওয়া কামানের গোলাটি যে এত পুরোনো, সেটি বুঝতে পারেননি ক্রেইগ ও’নিল। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট অগাস্টিন লাইটহাউস আর্কিওলজি মেরিটাইম প্রোগ্রামের প্রত্নতত্ত্ববিদ চাক মেইদে বলেন, এটা বেশ বড় আকারের একটি গোলা। এ ধরনের অন্যান্য গোলার ছবির সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, এমন কামানের গোলা সপ্তদশ শতকে ব্যবহার করা হতো।
প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ধারণা করছেন, গোলাটি ক্যাসটিলো দে সান মার্কোস দুর্গ থেকে সৈকতে এসে থাকতে পারে। সৈকতের যে জায়গায় গোলাটি পাওয়া গেছে, সেখান থেকে দুর্গটির অবস্থান মাত্র কয়েক মাইল দূরে। সপ্তদশ শতকে এ দুর্গসহ পুরো শহর ইউরোপীয়দের দখলে ছিল। তখন কোনো কারণে গোলাটি ছোড়া হয়। তবে চাক মেইদের মতে, সৈকতের গা ঘেঁষে যাওয়া কোনো সশস্ত্র জাহাজ থেকেও কামানের গোলাটি ছোড়া হয়ে থাকতে পারে।