এটা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অপপ্রচার: ইরান
আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল্লাহ আহমেদ আবদুল্লাহ ওরফে আবু আহমেদ আল-মাসরি ইরানে গোপন হামলায় নিহত হয়েছিলেন ‘নিউইয়র্ক টাইমস’–এর এমন খবর প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। তেহরান বলছে, এমন কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অপপ্রচার।
বিবিসি জানিয়েছে, আজ শনিবার ওই খবরের বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে ইরানে গোপন হামলা চালিয়ে আল–মাসরির নিহত হওয়ার খবর নাকচ করা হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ জানায়, গত ৭ আগস্ট তেহরানে দুই ব্যক্তি আল-মাসরিকে গুলি করে হত্যা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে ইসরায়েলের গুপ্তচরেরা ওই হামলা চালান। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শুরু থেকেই ইরান মাসরির মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। গুলির ওই ঘটনায় লেবানিজ একজন অধ্যাপক তাঁর মেয়েসহ নিহত হন। ওই সময় ইরান ও লেবাননের গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে তেহরান বলেছে, বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে ওয়াশিংটন ও তেল আবিব আল–কায়েদার মতো সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইরানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে আসছে।
আল-মাসরিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড মনে করা হতো। বলা হয়ে থাকে, তিনি এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ১৯৯৮ সালে কেনিয়া ও তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার পরিকল্পনাকাজে সহায়তা করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই দুই হামলায় ২২৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’–এর প্রতিবেদন বলা হয়, মাসরি ২০০৩ সাল থেকে ইরানে বসবাস করছিলেন। সেখানে প্রথম দিকে তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। পরে তিনি মুক্তভাবে জীবন যাপন করছিলেন।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে আল–কায়েদার যোগসাজশ রয়েছে—এমন কথা একেবারেই শোনা যায় না। কারণ, এই দুই পক্ষের আদর্শগত দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ জন্য শিয়াপন্থী ইরানকে সুন্নিপন্থী আল-কায়েদার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে লড়াই করতে দেখা যায়।
আল-মাসরি এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।