ফুলে ওঠা সমুদ্র আমাদের সবার দিকে আসছে: গুতেরেস

প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গার হাতাফু দ্বীপে যান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ২০২২ সালে অগ্নুৎপাত ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপটিতে বক্তব্য রাখেন তিনি। মঙ্গলবারের ছবিছবি: এএফপি

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, যারা বেশি মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করছে, তাদের কার্বন নিঃসরণ কমানোর সুস্পষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। অন্যথায় বিশ্বজুড়ে বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হবে।

প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় ৫৩তম ‘প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরাম লিডার্স মিটিং’-এর ফাঁকে বিবিসিকে কথাগুলো বলেন গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আজ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এই অঞ্চল ঘিরে ব্যাপক অবিচার করা হয়েছে। সে কারণেই আজ আমি এখানে এসেছি।’

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে আলাদা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এই উচ্চতা বৃদ্ধি কীভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রগুলোকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ফোরামে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুতেরেস বলেন, ‘ফুলেফেঁপে ওঠা সমুদ্র আমাদের সবার দিকে আসছে।’

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘কারণটা পরিষ্কার—গ্রিনহাউস গ্যাস। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে বিপুল পরিমাণে এই গ্যাস নির্গমন হচ্ছে। এটি আমাদের গ্রহকে দগ্ধ করছে। এই উষ্ণতার প্রভাব পড়ছে সাগরে।’

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ক্লাইমেট অ্যাকশন টিম। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বে গত তিন হাজার বছরের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা নজিরবিহীনভাবে বাড়ছে। এর মধ্যে গত ৩০ বছরে গড়ে উচ্চতা বেড়েছে ৯ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার। সেখানে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই বৃদ্ধি হয়েছে ১৫ সেন্টিমিটার।

প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরাম লিডার্স মিটিংয়ে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিলেন গুতেরেস। প্রতিবছর অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে অংশ নেন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ ১৮টি দেশের নেতারা। এর আগে ২০১৯ সালে ট্রুভালু সফরে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। সেবারও তিনি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।