দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছানো প্রথম ইউরোপীয় পেদ্রো

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচিত হয় অনেক কিছু। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই হয় ইতিহাসে। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২২ এপ্রিল। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

পেদ্রো আলভারেস কাবরাল ছিলেন পর্তুগিজ নাবিক। ১৫০০ সালের এ দিনে তিনি প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে পৌঁছান। বর্তমানের ব্রাজিলে নোঙর করে আলভারেস ওই ভূখণ্ডকে পর্তুগালের বলে দাবি করেন। দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছানো প্রথম ইউরোপীয় তিনি। ১৫২০ সালে মৃত্যু হয় পেদ্রোর।

মহাকাশ গবেষণায় সিএনএসএ প্রতিষ্ঠা

সিএনএসএ—চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। মহাকাশ গবেষণায় চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এটি। ১৯৯৩ সালের এ দিনে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে।

মহাকাশ গবেষণায় ১৯৯৩ সালে নিজস্ব সংস্থা গড়ে তুলেছে চীন
ছবি: রয়টার্স

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সই

উষ্ণায়ন প্রতিরোধ ও জলবায়ু সুরক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক পদক্ষেপ বিবেচিত হয় প্যারিস জলবায়ু চুক্তি। জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০১৫ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফ্রান্সের প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরের বছরের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সই হয় ঐতিহাসিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তি। ১৯৫টি দেশ প্যারিস চুক্তিতে সই করে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নরোধে ১৯৫টি দেশ প্যারিস চুক্তিতে সই করে
ছবি: রয়টার্স

প্রথম আর্থ ডে পালিত

১৯৭০ সালের এ দিনে বিশ্বে প্রথমবারের মতো পালিত হয় আর্থ ডে। পরিবেশ সুরক্ষাসহ ধরিত্রীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এই দিবসের লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিক গেলর্ড নেলসনের হাত ধরে এ দিবসের সূচনা। এখন প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে আর্থ ডে পালন করা হয়।

পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে আর্থ দিবস পালন করা হয়
ছবি: রয়টার্স

গ্যাস হামলায় নিহত ১১০০

সময়টা ১৯১৫ সাল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে। এ দিনে বেলজিয়ামের একটি যুদ্ধক্ষেত্রে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস ছেড়ে দেয় জার্মান বাহিনী। এতে মিত্রপক্ষের প্রায় ১ হাজার ১০০ সেনার প্রাণ যায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও অন্তত ৭ হাজার সেনা। যুদ্ধক্ষেত্রে রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করে বড় পরিসরে হামলার ঘটনা সেটাই প্রথম।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন