রসিক বাংলাদেশিদের মুখে ‘হ্যাভ আ গুড লাইফ, ট্রাম্প’
‘হ্যাভ আ গুড লাইফ’—পশ্চিমা সংস্কৃতিতে খুব একটা উষ্ণ বিদায়ী বার্তা নয়। অধিকাংশ সময়ই দম্পতিদের বিচ্ছেদের পর একে অন্যকে এমন বিদায়ী অভিবাদন জানাতে দেখা যায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়ার প্রাক্কালে এমন বার্তাই উচ্চারণ করেছেন আমেরিকানদের উদ্দেশে। ম্যারিল্যান্ডের অ্যান্ড্রুজ সামরিক ঘাঁটিতে ট্রাম্প নিজের বিদায়ী ভাষণে আমেরিকানদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘হ্যাভ আ গুড লাইফ’।
ঐতিহ্য ভেঙে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার ঘোষণা ট্রাম্প আগেই দিয়েছিলেন। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন ট্রাম্প।
কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রাম্প অ্যান্ড্রুজ সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছান। তবে তিনি তাঁর সমর্থকদের আগমনের জন্য সেখানে কিছুটা সময় অপেক্ষা করেন।
পরে সংক্ষিপ্ত বিদায়ী বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। নিজের ক্ষমতার সময় আমেরিকার সাফল্যের বর্ণনা দেন তিনি।
নাম উল্লেখ না করে ট্রাম্প তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘তাঁদের (বাইডেন প্রশাসন) জন্য সাফল্যের সোপান রেখে যাচ্ছি।’
নতুন প্রশাসনের জন্য শক্ত কাঠামো রেখে গেছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, শতাব্দীর ভয়াবহতম মহামারির সময়ে তিনি ছাড়া এমন কাজ ইতিহাসের কারও পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। একে এক বিরল ঘটনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এরপরই ‘হ্যাভ আ গুড লাইফ’, শিগগিরই আবার দেখা হবে বলে বিদায়ী অভিবাদন জানান ট্রাম্প।
অ্যান্ড্রুজ সামরিক ঘাঁটির আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্থানীয় সময় বেলা ১১টার কিছু পর ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচের ‘মার এ লাগো’-তে পৌঁছান। উড়োজাহাজ থেকে নেমে সড়কপথে যাওয়ার সময় তাঁর কয়েক শ সমর্থক তাঁকে অভিনন্দন জানান।
সড়কের পাশে দাঁড়ানো মাস্কহীন সমর্থকদের কেউ কেউ স্লোগান দেন, ‘ট্রাম্প এখনো আমাদের প্রেসিডেন্ট।’
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে আবার প্রার্থী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কিছু সমর্থক স্লোগান দেন।
হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার পর ফ্লোরিডার মার এ লাগোর রিসোর্টেই ট্রাম্পের বসবাস করার কথা। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প, সাবেক ফার্স্ট লেডি হিসেবে মেলানিয়া ও তাঁদের ১৪ বছর বয়সী ছেলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পাবেন।
ফ্লোরিডার মার এ লাগো থেকেই ট্রাম্প সিনেটে তাঁর দ্বিতীয় দফা অভিশংসন বিচার মোকাবিলা করবেন। ক্ষমতা ছাড়ার পরবর্তী বেশ কিছু আইনি ঝামেলাও ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে হতে পারে।
ওয়াশিংটন ডিসির সড়কে বুধবার ট্রাম্প-সমর্থকদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলেন ২৫ হাজারের বেশি সেনা ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
প্রতিনিধি রওশন হক ক্যাপিটল হিলের সামনে থেকে জানান, বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান উদ্যাপনে বুধবার একদল বাংলাদেশি নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে রসিকতা করে বলতে শোনা গেল, ‘হ্যাভ আ গুড লাইফ, মি. ডোনাল্ড ট্রাম্প!’