আগ্রাসনের কবলে সাংস্কৃতিক বিনোদন

খাদ্য যেমন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, তেমনি আনন্দ-বিনোদনও মানুষকে উৎফুল্ল রেখে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। মানুষের শ্রেণিগত ভিন্নতার কারণে এই বিনোদনেও রয়েছে রকমফের। প্রতিটি মানুষের রুচি-দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নতর। এই ভিন্নতার প্রকৃত কারণটি ব্যক্তির শ্রেণি অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। হতদরিদ্র মানুষের জীবনে বিনোদন নেই—এটা সত্য নয়। বিনোদন সব মানুষই উপভোগ করে নিজ রুচি-দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ও সামর্থ্যে।
অনেকে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি পাঠে বিনোদনের পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন করে। অনেকে পাঠ্য বইয়ের বাইরে সাহিত্য পাঠকে অনাবশ্যক মনে করে। সে বিনোদন খোঁজে অন্য উপায়ে। সাংস্কৃতিক বিনোদনের সর্বাপেক্ষা প্রচলিত মাধ্যমগুলো হচ্ছে চলচ্চিত্র ও ক্যাবল টিভি। কালের বিবর্তনে মানুষের রুচির পরিবর্তন যেমন ঘটে, তেমনি ঘটে শ্রেণি পরিবর্তনও। এতে বদলে যায় বিনোদনের উপকরণও। এ বদল ঘটে প্রযুক্তির কারণেও। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আগমনে বিনোদনের রুচিতেও আসে ব্যাপক পরিবর্তন। অনেক ক্ষেত্রে বিনোদনের ক্ষেত্রে আসছে স্থূলতা।
বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম চলচ্চিত্র ও ক্যাবল টিভিতে বিজাতীয় ভাষা-সংস্কৃতির প্রভাব প্রবল হয়ে পড়েছে। পরিবারের সবাই ক্যাবল টিভির হিন্দি চলচ্চিত্র-সিরিয়াল উপভোগ করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে, অশালীনতার কারণে। প্রযুক্তির এই নেতিবাচক দিকটি আমাদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নেতিবাচক প্রভাবেই প্রচলিত সাংস্কৃতিক বিনোদনমাধ্যমগুলো আক্রান্ত হচ্ছে। সুস্থ-স্বাভাবিক বিনোদনের বিপরীতে অপসংস্কৃতির বহুমাত্রিক প্রভাব সমাজ জীবনে প্রকট হয়ে উঠছে।
তরুণেরা সহজেই বিপথগামী হচ্ছে। বিনোদন যখন তার সুস্থতা হারিয়ে বসে, তখন তা আর সাংস্কৃতিক বিনোদনের পর্যায়ে থাকে না; পরিণত হয় অশালীন-বিকৃত স্থূল বিনোদনে। ক্যাবল টিভির কল্যাণে এখন ঘরে ঘরে এটি অনায়াসে ঢুকে পড়েছে। সহজ পন্থায় এটিকে ঠেকানো সম্ভব সয়। এ জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। সচেতনভাবে গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমেই একমাত্র এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। নয় তো ভিন্ন সংস্কৃতির স্রোতে নিজেকে হারিয়ে বসতে হবে। তাই এখনই সচেতনভাবে প্রতিটি ব্যক্তি-পরিবার ও সামাজিকভাবে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা অপরিহার্য।
এক সময় বাংলাদেশে বিনোদনমাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল রেডিও। স্থানীয় রেডিও চ্যানেলের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আকাশবাণী, শিলং ব্রডকাস্টিংয়ের নাটক, গান ইত্যাদি অনুষ্ঠান শোনার শ্রোতা গড়ে উঠেছিল। আকাশবাণী ও বিবিধ ভারত-এ সম্প্রচারিত নাটক রেডিওর চারপাশে বসে পারিবারিক এবং সামাজিক পরিসরে শোনার রেওয়াজ ছিল। রেডিও হালকা বহনযোগ্য হওয়ায় তা সঙ্গে নিয়ে চলা যেত। শহরের খাবার হোটেলগুলোতে শিলং ব্রডকাস্টিং-এর হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় গান বাজতে শোনা যেত। পাশাপাশি বাজত ‘হিজ মাস্টার’স ভয়েস’ রেকর্ড কোম্পানির রেকর্ডে নানা জনপ্রিয় বাংলা-হিন্দি গান। হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ রাফি, শামসাদ বেগম, মুকেশ প্রমুখ শিল্পীদের গানের শ্রোতারা বয়সের দিক থেকে ছিল তুলনামূলক প্রবীণ। বাংলা গান ছিল ভীষণ জনপ্রিয়। বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী সতীনাথ, জগন্ময় মিত্র, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র, শচীন দেব বর্মণ, হেমন্ত, মান্না দে, তালাত মাহমুদ প্রমুখ এবং লতা মঙ্গেশকর-সায়গলের গাওয়া বাংলা গান অধিক জনপ্রিয় ছিল। বাংলা গানের ওই সময়টাকে স্বর্ণযুগ বলে অভিহিত করলে মোটেই ভুল হবে না। তখন বিয়েসহ সব সামাজিক অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো ছিল একটা রেওয়াজ। মাইকে বাজত বাংলা-হিন্দি-উর্দু গানের পাশাপাশি ঢাকায় নির্মিত বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গানও।
ঢাকায় পাকিস্তান টিভির সম্প্রচার চালুর পর সাংস্কৃতিক বিনোদনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চালু থাকত টিভি। তখন ঘরে ঘরে টিভি ছিল না। গ্রামে-গঞ্জে তো নয়ই। শহরের বিত্তবান-মধ্যবিত্তদের ঘরে টিভি প্রবেশের পর আশপাশের প্রতিবেশীরা টিভির অনুষ্ঠান একত্রে উপভোগ করতে সেখানে ছুটে যেত। এতে এক ধরনের সামষ্টিক বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হতো। যাদের বাড়িতে টিভি ছিল, তারা ঘরে স্থান সংকুলান না হলে টিভি বাইরে এনে প্রতিবেশীদের নিয়ে একত্রে অনুষ্ঠান উপভোগ করত। এই সামাজিকতার আবহ প্রত্যেকের মধ্যে বিস্তার লাভ করত। সবাই সবার ভালো-মন্দে, সুখ-দুঃখের অংশীদার হতো। এখন তো একই বাড়িতে কয়েকটি টিভি থাকে; যার যার ঘরে তার তার পছন্দ অনুযায়ী একাকী টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করে। সামাজিকতার বলাই যেমন নেই, তেমনি নেই সামাজিকতার দায়-আকাঙ্ক্ষাও। টিভিতে তখন জনপ্রিয় ছিল ত্রিরত্নসহ অনেক হাসির নাটক-সিরিয়াল, গল্প থেকে নাটক, বিচিত্রানুষ্ঠান ইত্যাদি। রহস্য থ্রিলার, ইংরেজি সিরিয়াল, গান ও রোববার দুপুরে বাংলা ছবির সম্প্রচার পরিবারের সবাই একত্রে উপভোগ করত। সাংস্কৃতিক বিনোদনে টিভির ভূমিকা তত দিনই ইতিবাচক ছিল যত দিন ক্যাবল টিভির আগমন ঘটেনি।
ক্যাবল টিভি সম্পূর্ণ নেতিবাচক নয়। লাইভ খেলা, সংবাদ, ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার তাৎক্ষণিক ফুটেজ দেখা ও সংবাদ জানার ক্ষেত্রে ক্যাবল টিভি তো বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। পাশাপাশি বিজাতীয় স্থূল রুচির চলচ্চিত্র, সিরিয়াল সামগ্রিকভাবে সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এমনকি হালের ঢাকা ও কলকাতার বাংলা চলচ্চিত্রের ভাষা বাংলা হলেও আঙ্গিকে ও কাহিনিতে বিজাতীয়। আমাদের দেশ-কাল ও সমাজের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগতিপূর্ণ। পাকিস্তান টিভিতে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় সংবাদ পরিবেশিত হতো। মনে পড়ে, খবরের সময় টিভি বন্ধ করে টিভিকে বিশ্রাম দেওয়া হতো। সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদের ওপর অতীতেও মানুষের আস্থা ছিল না; আজও নেই।
কৈশোরে বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখতাম। ঢাকায় নির্মিত বাংলা ছবি দেখতাম। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাক-ভারত যুদ্ধের কারণে আইয়ুব খান বিশেষ ফরমান জারি করে কলকাতা ও বোম্বের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ করে দেন। ১৯৪৭-এর দেশভাগ এবং ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরের পাক-ভারত যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এখানে কলকাতা ও বোম্বের ছবির অবাধ প্রদর্শনী চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় কলকাতা থেকে প্রকাশিত বই, সাহিত্য-সাময়িকী, কিশোরদের ছড়া-ছবিসহ কিশোর উপযোগী সব রকমের বই, সব পত্রিকা-প্রকাশনাও। ঢাকায় নির্মিত বাংলা সিনেমা বাণিজ্যিক ভাবনায় নির্মিত হলেও সেসব ছিল সুস্থ বিনোদনের উপকরণে সমৃদ্ধ। কোনো ধরনের স্থূলতা ছিল না। বাংলা সিনেমাকে লাহোরে নির্মিত উর্দু ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে নিজের স্থান দখল করতে হয়েছে। সূর্যস্নান, নয়নতারা, কখনো আসিনি, আনোয়ারা, জুলেখা, নীল আকাশের নিচে, এতটুকু আশা, ধারপাত, নদী ও নারী, জোয়ার ভাটা প্রভৃতি সামাজিক বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি রূপকথাভিত্তিক বেহুলা, রূপবান, সাত ভাই চম্পা, ভানুমতি ইত্যাদি ছবি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। সে সময় দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী ছিল, যা এখন আর নেই। ঢাকার বাংলা সিনেমার সেটাই ছিল স্বর্ণযুগ।
স্বাধীনতার পর ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢাকাই ছবিতে অশ্লীলতা-দাঙ্গাবাজির সূত্রপাত ঘটে এবং এটা দ্রুত কর্কট রোগের মতো বিস্তার পায়। ঢাকায় বাংলা চলচ্চিত্রের অন্তিম যাত্রা শুরু হয় তখন থেকেই। আজ তার পরিণতি আমরা প্রত্যক্ষ করছি মাত্র। মধ্যবিত্তরা প্রেক্ষাগৃহ ত্যাগ করেছে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। ঢাকার বাংলা চলচ্চিত্র এখন তার অতীত ঐতিহ্য হারিয়ে অন্তিম মুহূর্ত অতিক্রম করছে। মুম্বাই-দক্ষিণ ভারতের হিন্দি ছবি নিয়মিত একাধিক চ্যানেলে সম্প্রচারের কারণে বাংলা রিমেক ছবি আর দর্শক টানতে পারছে না।
স্বাধীনতার পর আমাদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংযোজন গ্রুপ থিয়েটার নাট্যান্দোলন। মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে জনগণকে অধিকার আদায়ে সচেতন করার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এই নাট্যান্দোলন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। একটা পর্যায়ের পর স্থবির হয়ে পড়েছে। টিকিট কেটে নাটক দেখার প্রবণতা মধ্যবিত্তদেরই আকৃষ্ট করেছে; সমষ্টিকে নয়। এটিকে এককথায় সামন্ত থেকে নাটকের বুর্জোয়া উত্তরণ বলা যায়। তবে গ্রুপ থিয়েটার চর্চায় অনেক ভালো নাটক প্রযোজনা যে হয়নি, তা নয়। প্রচুর মঞ্চসফল নাটক হয়েছে। দর্শকনন্দিত হয়েছে। পাশাপাশি সবচেয়ে ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে আমাদের নাট্য-সাহিত্যের বিকাশ। যেটি আগে ছিল না। আমাদের নাট্যকার ও নাট্য-সাহিত্য সৃষ্টিতে গ্রুপ থিয়েটারের অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না। প্রচুর বাংলা মৌলিক নাটক আমাদের সমৃদ্ধ করছে। এখন তো মঞ্চ নাটক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য এক প্রকার সিঁড়ি। মঞ্চ নাটকে অভিনয়ে প্রাথমিক জ্ঞান লাভের পর তারা টিভি মিডিয়াতে ছুটে যায়। মঞ্চ নাটকে আর ফিরে আসে না। অর্থাৎ তারকা খ্যাতির ক্ষেত্রে মঞ্চ নাটকের সিঁড়ি বেয়ে প্রযুক্তির মিডিয়া মাধ্যমের দিকে ছোটা, যেখানে তাৎক্ষণিক খ্যাতির পাশাপাশি রয়েছে আর্থিক প্রাপ্তির অভাবনীয় সুযোগ। মঞ্চ নাটকের অত্যন্ত শক্তিমান অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতিমান অনেকে অর্থ ও খ্যাতির মোহে মঞ্চ নাটক ত্যাগ করে টিভি মিডিয়ায় ও চলচ্চিত্রে স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়ে গেছেন। এখন মঞ্চ নাটক সাংস্কৃতিক বিনোদনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত নয়। ব্যতিক্রম হাতে গোনা দু-তিনটি দলের নাটকে দর্শক সমাগম হয়। আর বেশির ভাগ নাট্যদলের প্রযোজনার খরচ টিকিট বিক্রির মাধ্যমে ফিরেও আসে না।
আমাদের সামগ্রিক সাংস্কৃতিক বিনোদনের বাস্তব চিত্রটি এমনই এখন। এর থেকে বের হয়ে নিজেদের সংস্কৃতিকে সুরক্ষা করা প্রত্যেকের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই যদি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের কলকাতার পরিণতি ভোগ করতে হবে। শহর কলকাতায় বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি প্রবলভাবে উপেক্ষিত। সেখানে চলছে হিন্দির সীমাহীন আগ্রাসন। হিন্দির প্রচলন তারা ঠেকাতে পারেনি। দক্ষিণ ভারত এ ক্ষেত্রে অসামান্য নজির সৃষ্টি করেছে, হিন্দির আগ্রাসন রুখে। দক্ষিণের চার রাজ্যের পৃথক ভাষা কানাড়া, তেলেগু, তামিল ও মালায়লম। হিন্দি ভাষাকে প্রত্যাখ্যান করে দক্ষিণের চার রাজ্য নিজ ভাষার প্রতি আনুগত্যের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেটা ভারতের অন্য কোনো রাজ্যে দেখা যাবে না। আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। হিন্দি নয়। হিন্দি ভাষার ভয় আমাদের নেই সত্য; তবে হিন্দি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে আমাদের সংস্কৃতি যে হুমকির কবলে, সেটা স্বীকার করতেই হবে। বিশ্বায়ন নামক দৈত্য সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারে আমাদের সংস্কৃতির ওপর হস্তক্ষেপ জারি রেখেছে। এর মূলে রয়েছে পুঁজিবাদ। আমাদের সামগ্রিক সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের মূলে পুঁজিবাদের সক্রিয় ভূমিকা স্বীকার করতেই হবে। পুঁজিবাদকে রুখতে পারলেই আমাদের সাংস্কৃতিক বিনোদনে জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশ লাভ সম্ভব হবে। তাই সর্বাগ্রে জরুরি পুঁজিবাদবিরোধী সংগঠিত প্রতিরোধ। এটি আমাদের জাতীয় কর্তব্য বলে বিবেচনার দাবি রাখে। এই সত্যটি যেন আমরা ভুলে না যাই।