যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন
স্বাস্থ্যগত তথ্য প্রকাশ কমলার, চাপ বাড়াচ্ছেন ট্রাম্পের ওপর
কমলার প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। সেটিই প্রচার করে যাচ্ছেন তিনি।
স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে যোগ্যতায় এগিয়ে থাকার প্রমাণ দিতে চান কমলা হ্যারিস। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তাই তাঁর স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন (মেডিকেল রিপোর্ট) সামনে আনছেন। কমলা হ্যারিসের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমলা হ্যারিস তাঁর স্বাস্থ্যগত তথ্য সামনে আনলে তা প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন প্রকাশের চাপ তৈরি করবে।
কমলা হ্যারিসের প্রচারশিবিরের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিসের স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন দেখলে বোঝা যাবে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে উপযোগী।
কমলা হ্যারিসের প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাঁর প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রচারশিবির থেকে এ ধরনের কোনো তথ্য প্রকাশে অনীহা জানানো হয়েছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারশিবির বলেছে, কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযোগী।
গত জুলাই মাসে ৮১ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে ট্রাম্পই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী হয়ে লড়তে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের কাছে টেলিভিশন বিতর্কে হেরে যাওয়ার পর বাইডেনের মানসিক তীক্ষ্ণতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর জেরে কমলাকে সমর্থন দিয়ে সরে যান তিনি।
আগামী ৫ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বয়স ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কমলার প্রচারশিবির। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেওয়া এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের বয়সের বিষয়টি এখন পর্যন্ত কোনো জরিপে প্রভাব ফেলেনি।
কমলাকে সমর্থন দেওয়া নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার নিবন্ধে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যগত তথ্য দিতে ব্যর্থতার দিকটি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সে বিষয়টি তুলে ধরেছে কমলার প্রচারশিবির।
ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের সাবেক চিকিৎসক রনি জ্যাকসন তাঁকে দারুণ স্বাস্থ্যের অধিকারী বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটিই প্রচার করে যাচ্ছেন তিনি। গত জুলাই মাসে পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্পের কানে গুলি লাগে। ওই সময়েও রনি জ্যাকসন বিবৃতি দিয়ে বলেন, ট্রাম্প ভালো আছেন।
কমলার প্রচারশিবির থেকে স্বাস্থ্যগত তথ্য প্রকাশের ঘোষণার পাশাপাশি কমলা অর্থনৈতিক নীতির বিষয়টিও পরিষ্কার করে সামনে আনা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে কমলা হ্যারিস কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনিদের সুবিধা দিতে পারে, এমন অর্থনৈতিক নীতির বিষয়টি সামনে আনবেন। এদিকে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিবাসী নীতি নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।