ছয় বছর বয়সী রোমিও বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ষাঁড়ের খেতাব জিতে নিয়েছে। হোলস্টেইন জাতের এই ষাঁড় লালন-পালন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যে পশুদের এক অভয়ারণ্যে। মাটি থেকে এটির উচ্চতা ৬ ফুট ৪ দশমিক ৫ ইঞ্চি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, রোমিও আগের রেকর্ডধারী টমির তুলনায় তিন ইঞ্চি লম্বা।
রোমিওর মালিক মিস্টি মোর এই ষাঁড়কে অত্যন্ত ভদ্র স্বভাবের বলে দাবি করেছেন। এই এঁড়ে বাছুর যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত খাওয়ার মাংসের জন্য লালন-পালন করা করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস টুইটারে রোমিওর একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে লিখেছে, ‘রোমিওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করুন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ষাঁড় রোমিও ছয় বছর বয়সী হোলস্টেইন জাতের ষাঁড়। যার উচ্চতা ১ দশমিক ৯৪ মিটার (৬ ফুট ৪ দশমিক ৫ ইঞ্চি)। এটি ওয়েলকাম হোম অ্যানিমেল অভয়ারণ্যে তার মালিক মিস্টি মোরের সঙ্গে থাকে।
রোমিও খেতে পছন্দ করে বিশেষ করে আপেল ও কলা। এটি দিনে ১০০ পাউন্ড খড় খায়। পাশাপাশি শস্যও খায়। এটির বিশাল আকারের দেহের জন্য বিশেষ পরিবহনব্যবস্থার দরকার পড়ে। এমনকি একে আরাম দিতে এর থাকার জায়গাটি বেশ উঁচু করে খোলামেলাভাবে তৈরি করতে হয়।
রোমিওর মালিক মিস্টি মোর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেন, ‘আমরা যখন রোমিওকে উদ্ধার করি, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১০ দিন। একটি ডেইরি ফার্মের রূঢ় বাস্তবতার মুখ থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন, এমন একজনের কাছ থেকে আমরা একটি ফোন কল পাই। আপনি দেখবেন, দুগ্ধশিল্পে, রোমিওর মতো পুরুষ বাছুরগুলোকে মাংসের ব্যবসার জন্যই লালন-পালন করা হয়।’
কিন্তু রোমিওর ভাগ্য ছিল ব্যতিক্রম। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সঙ্গে কথা বলার সময় মোর স্মৃতিচারণা করেন। বলেন, ‘আমার দল রোমিওকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন দিতে চেয়েছে। আমরা তাকে নিরাপত্তা, সহানুভূতিশীল ও অগাধ ভালোবাসায় পূর্ণ একটি জীবন দিতে চেয়েছি। তাই অভয়ারণ্য তাকে হাত মেলে সীমাহীন ভালোবাসা দিয়েছে।’
রোমিওকে আশার বাতিঘর বলে অভিহিত করেছেন মোর। রোমিওর গভীর ভালোবাসার জন্যই এই নাম পেয়েছে।
রোমিওর আকার বড় হওয়ার কারণে কিছু ঝক্কিও আছে। পশু হাসপাতালে তার চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নেই। তাই জরুরি প্রয়োজনে তাকে চিকিৎসা দেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে।