গাজায় নৃশংসতা সত্ত্বেও কেন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ইহুদিবাদী দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণা দেন ইহুদি নেতারা। এর মাত্র ১১ মিনিট পরই মধ্যরাতে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনফাইল ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজার রাফা এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয় নেওয়া তাঁবুতে গত মে মাসের শেষ দিকে ইসরায়েলের এক হামলায় শিশুসহ ৪৫ জন নিহত হন। ওই হামলায় মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে চালানো এ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা জিবিইউ-৩৯ বোমা।

এরপর গত জুনের শুরুতে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন নারী–শিশুসহ আরও ৪৫ জন। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ওই হামলায়ও একই ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয় বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের অনুসন্ধানে উঠে আসে।

এ ‍দুটি হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দায় সরব হলেও ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দ্ব্যর্থহীন সমর্থনে সামান্যতম বিচ্যুতি ঘটেনি; বরং কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েলের এ ধরনের নৃশংস হামলার পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যায় মার্কিন রাজনীতিকদের।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, বিশ্বে উদার গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের ঝান্ডাবাহী যুক্তরাষ্ট্র কেন ইসরায়েল প্রশ্নে এতটা নমনীয়? মানবিক আইন লঙ্ঘনের মতো ঘটনায়ও কেন ইসরায়েলের ন্যূনতম সমালোচনা করতে পারে না মার্কিন নেতৃত্ব? এর নেপথ্যে রয়েছে যেমন তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব, তেমনি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও ধর্মীয় প্রভাব।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
১৯৪৭ সালের ২২ মার্চ হাইফা বন্দরে ভিড়ছে জাহাজ ‘এক্সোডাস’। এই জাহাজে ইউরোপ থেকে আসে অবৈধ ইহুদি অভিবাসীরা
ছবি: রয়টার্স

ভূরাজনীতি

ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ইহুদিবাদী দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনে অনুপ্রবেশ করে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের উদ্যোগ নেয়। এটি ইতিহাসে ‘বেলফোর ঘোষণা’ হিসেবে পরিচিত। এ উদ্যোগের প্রতি সমর্থন ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরও।

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণা দেন ইহুদি নেতারা। এর মাত্র ১১ মিনিট পরই মধ্যরাতে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান। যুক্তরাষ্ট্রের তড়িঘড়ি এ ঘোষণাতেই বোঝা যায়, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মার্কিন আকাঙ্ক্ষা ও ভূমিকা কতটুকু।

তেলের মজুতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বরাবরই ছিল পশ্চিমাদের কাছে। এ ছাড়া সমুদ্রপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল পরাশক্তিগুলোর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইউরোপের শক্তিগুলোর প্রভাব কমে আসে। এ শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মধ্যপ্রাচ্য আর ইসরায়েল রাষ্ট্রের গুরুত্ব কতটুকু, তা উঠে আসে সিনেটর থাকাকালে ১৯৮৬ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া এক বক্তৃতায়। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যুক্তরাষ্ট্রের ৩০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ উল্লেখ করে সিনেট অধিবেশনে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি ইসরায়েল না থাকত, তাহলে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় একটি ইসরায়েল আমাদের তৈরি করতে হতো।’

ইসরায়েলের প্রতি বাইডেনের সেই সমর্থন এখনো অটুট। প্রায়ই নিজেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবি করেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালালে সংহতি জানাতে দেশটি সফর করেন বাইডেন।

সফরকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেন বাইডেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘জায়নবাদী হতে হলে আপনাকে ইহুদি হতে হবে, এমনটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি একজন জায়নবাদী।’

আরও পড়ুন

খ্রিষ্টীয় জায়নবাদ

গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু থেকেই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ইহুদি অধিকারকর্মীরা। এমনকি গাজায় হামলা এবং ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরোধিতা করে কর্মসূচি পালন করে আসছে অর্থোডক্স ইহুদিদের কিছু অংশও। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের কর্মসূচির বিরুদ্ধে প্রথমে বাধা আসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এ ছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব হামলার সঙ্গে কট্টরপন্থী খ্রিষ্টানরা জড়িত, যাঁরা খ্রিষ্টীয় জায়নবাদী হিসেবে পরিচিত। আর এই খ্রিষ্টীয় জায়নবাদের নেপথ্যে রয়েছে ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টানদের ধর্মতত্ত্ব।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টানদের একটি ধারার বিশ্বাস হলো, ইহুদিদের নিজ ভূমিতে (ফিলিস্তিনে) ফেরাটা সাত বছরের মহাযুদ্ধের (আর্মাগেডন) ক্ষণগণনারই অংশ। এ যুদ্ধের শেষে যিশুখ্রিষ্ট ফিরে আসবেন। ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টানদের কেউ কেউ ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ওই ভবিষ্যদ্বাণীরই অংশ বলে মনে করেন।

ফলে ওই হামলার পর ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাতে দেরি করেনি যুক্তরাষ্ট্রের ইভানজেলিক্যাল গোষ্ঠীগুলো। কারণ, তারা মনে করে, ইহুদিরা ঈশ্বরের নির্বাচিত এবং যারা তাঁদের প্রতি সদাচরণ করবেন, ঈশ্বর তাঁদের প্রতি সদয় হবেন।

গত ৭ অক্টোবরের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দেয় ক্রিশ্চিয়ান ইউনাইটেড ফর ইসরায়েল (সিইউএফডি) নামের একটি ইভানজেলিক্যাল লবিস্ট গোষ্ঠী। তাদের এক কোটির বেশি সদস্য আছে বলে দাবি করা হয়। পোস্টে হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘তোমরা ইসরায়েলের প্রতি যা করছ, ঈশ্বরও তোমাদের প্রতি তেমনই করবেন।’

এর পরপরই ‘ইসরায়েলের সমর্থনে ইভানজেলিক্যাল বিবৃতি’ নামে আরেকটি বিবৃতি দেয় নৈতিকতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন। এটি সাদার্ন ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশনের একটি শাখা। সাদার্ন ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশনের অধীন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ হাজার গির্জা রয়েছে। হামলার পরের সপ্তাহগুলোয় প্রতি রোববার গির্জাগুলোয় যাজকদের বক্তব্যে বিষয়টি প্রাধান্য পায়।

সিইউএফডির প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠাতা ইভানজেলিক্যাল যাজক জন হ্যাগি যিশুখ্রিষ্টের প্রত্যাবর্তনের ধর্মীয় ভবিষ্যদ্বাণী ২০২২ সালে টিবিএন নেটওয়ার্কে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে ইহুদিদের অবস্থান করাটা যিশুর প্রত্যাবর্তনের পূর্বশর্ত।

হ্যাগি বলেন, ‘শিগগির যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা হচ্ছে খ্রিষ্টবিরোধী আসবেন এবং তাঁর সাত বছরের সাম্রাজ্য, যা আর্মাগেডনে ধ্বংস হয়ে যাবে। এরপর যিশুখ্রিষ্ট জেরুজালেম শহরে তাঁর সিংহাসন স্থাপন করবেন। তিনি এমন এক রাজ প্রতিষ্ঠা করবেন, যা কখনো শেষ হবে না।’

২০১৫ সালে পিউ রিসার্চের এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টানদের প্রতি প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষের সমর্থন আছে। রিপাবলিকান পার্টির বড় অংশই ইভানজেলিক্যাল প্রভাবিত।

বর্তমানে মার্কিন কংগ্রেসের শতাধিক সদস্য ইভানজেলিক্যাল হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁদের অনেকেই ধর্মীয় কারণে ইসরায়েলের প্রতি নিজেদের সমর্থনের বিষয়টি জানান।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের নির্বাচনে সামগ্রিক ভোটারদের ২৮ শতাংশই ছিল ইভানজেলিক্যাল, যাদের চার ভাগের তিন ভাগই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন।

ইভানজেলিক্যাল লবির কারণেই ২০১৮ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ‍দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করেন তিনি। ট্রাম্প ও হ্যাগি পরে বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।

এমনকি গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন অনেক ইভানজেলিক্যাল মার্কিন। গাজা যুদ্ধের জন্য সাড়ে তিন লাখের মতো রিজার্ভ সেনা তলব করে ইসরায়েল সরকার। এর প্রভাব পড়ে দেশটির শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। জনবলের ঘাটতি পূরণে এসব প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন এসব ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান।

১৭ অক্টোবর দক্ষিণ গাজা থেকে তোলা এএফপির ছবিতে আহত ফিলিস্তিনি
ইনফোগ্রাফিক: সৈয়দ লতিফ হোসাইন

ইহুদি লবি

যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি অত্যন্ত শক্তিশালী। দেশটির বড় বড় কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইহুদিদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যমেও তাঁদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে বড় অঙ্কের অনুদান দিয়ে থাকেন ইহুদি ধনকুবের ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানগুলো। এটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকদের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

ইসরায়েলে প্রতি সমর্থন আদায়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক সংগঠন কাজ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হলো আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি বা আইপ্যাক। যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের পাশাপাশি ইভানজেলিক্যাল গির্জাগুলোয় তৃণমূল পর্যায়ে জনমত তৈরি, পরামর্শ প্রদান এবং তহবিল সংগ্রহে সংগঠনটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে আইপ্যাকের বার্ষিক সম্মেলনে ২০ হাজারের মতো ব্যক্তি উপস্থিত থাকেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো প্রভাবশালী রাজনীতিকেরা এতে অংশ নেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ সম্মেলনের নিয়মিত অতিথি। আইপ্যাক অনেকটা রিপাবলিকানপন্থী হওয়ায় ইহুদি লবিকে হাতে রাখতে ‘জি স্ট্রিট’ নামের ছোট একটি ইসরায়েলপন্থী সংগঠন গড়ে তুলেছেন ডেমোক্র্যাটরা।

অবশ্য ইসরায়েলের দখলদারত্ব ও দেশটির যুদ্ধবাজ নীতির প্রতি যে যুক্তরাষ্ট্রে সমর্থন কমছে না, বিষয়টি তেমন নয়। তবে তা একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীবিক্ষোভ কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে। এর প্রতিফলন দেখা গেছে সাম্প্রতিক কিছু জরিপে। এতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের মধ্যে ইসরায়েলে প্রতি সমর্থন কমছে।

সর্বোপরি, এখনো ইসরায়েল প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি একচেটিয়া বলা যায়। দেশটির নীতিগত পর্যায়ে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের বিষয়টি অবিচ্ছেদ্য। এর কারণটিও মরিস গ্লেন বাওয়ার্সের লেখা ও সম্পাদিত একটি বইয়ের শিরোনাম থেকেই অনুমেয়—‘ইসরায়েল: দ্য ফিফটি ফার্স্ট স্টেট: …দ্য আনস্পোকেন ফরেন পলিসি অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা’ (ইসরায়েল: ৫১তম অঙ্গরাজ্য: …যুক্তরাষ্ট্রের না–বলা পররাষ্ট্রনীতি)।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা ও সিএনএন

আরও পড়ুন