সালমান রুশদির হামলাকারীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। আটক সন্দেহভাজন হামলাকারী হাদি মাতারকে (২৪) জামিন না দিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানমঞ্চে কথা বলছিলেন সালমান রুশদি। এ সময় তাঁর ঘাড়ে এক হামলাকারী ছুরিকাঘাত করেন। পরে হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এ ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ হাদি মাতার (২৪) নামের সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
পুলিশ বলছে, হামলাকারী মঞ্চে উঠে সালমান রুশদি ও তাঁর সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর ওপর হামলা চালান। সালমান রুশদির ঘাড়ে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করা হয়। পরে হামলাকারীকে ধরে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
সালমান রুশদির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ভেন্টিলেশনে (কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া) আছেন। কথা বলতে পারছেন না। সালমান রুশদির অবস্থা এখন গুরুতর ও সংকটাপন্ন।
অ্যান্ড্রু ওয়াইলি নামের সালমান রুশদির ওই কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেছেন, সালমান রুশদি একটি চোখ হারাতে পারেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত বুকার পুরস্কারজয়ী ৭৫ বছর বয়সী লেখক রুশদি ১৯৮১ সালে তাঁর লেখা বই ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।
‘স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করেন মুসলিমরা। এটি প্রকাশের পর থেকে সালমান রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন।
বইটি প্রকাশের এক বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর মাথার দাম হিসেবে ৩ মিলিয়ন (৩০ লাখ) ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।
সালমান রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ দেশটির রাজনীতিবিদেরা নিন্দা জানিয়েছেন।