যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ২২০০ বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের সময় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) এক বিক্ষোভকারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ২ মে, ২০২৪ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে সহিংস পন্থার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে পুলিশের ‘দুর্ঘটনাবশত’ গুলি ছোড়ার ঘটনাও।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে গুলি ছোড়ার ঘটনায় কেউ আহত হননি। এক পুলিশ সদস্য তাঁর বন্দুকের সঙ্গে লাগানো ফ্লাশলাইট জ্বালানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন একটি গুলি বেরিয়ে হলের দেয়ালে লাগে। তবে ঘটনাটি পর্যালোচনা করে দেখছে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির দপ্তর।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১৮ এপ্রিলের পর থেকে গতকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে অন্তত অর্ধশত গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে। তাঁদের মধ্যে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় শুধু কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষার্থীদের এমন ব্যাপক বিক্ষোভ এ শতকে আর দেখা যায়নি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইউসিএলএ ক্যাম্পাসে পুলিশের অভিযানের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করেছে; যেমনটা করেছে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল–জাজিরা। ইসরায়েলের বিভিন্ন টেলিভিশন নেটওয়ার্কও লস অ্যাঞ্জেলেসে চালানো অভিযানের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে।

সর্বশেষ গতকাল সকালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তাঁদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ জানালে তা অমান্য করেন বিক্ষোভকারীরা। তখন অন্তত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

আরও পড়ুন

ইউসিএলএর মতো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরাও তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে বা গাজা যুদ্ধকে সমর্থনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইসরায়েলি ‘গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষার্থীদের এমন ব্যাপক বিক্ষোভ এ শতকে আর দেখা যায়নি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইউসিএলএ ক্যাম্পাসে পুলিশের অভিযানের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করেছে; যেমনটা করেছে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল–জাজিরা। ইসরায়েলের বিভিন্ন টেলিভিশন নেটওয়ার্কও লস অ্যাঞ্জেলেসে চালানো অভিযানের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে।

জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনি পতাকা নাড়ছেন এক ব্যক্তি। ব্যারিকেডের চারপাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ওয়াশিংটন ডিসি, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
ছবি: এএফপি
আরও পড়ুন

ইসরায়েল এ ছাত্র বিক্ষোভকে ইহুদিবিদ্বেষ বলে আখ্যায়িত করেছে। তবে ইসরায়েলের সমালোচকেরা বলছেন, বিরোধীদের কণ্ঠরুদ্ধ করতেই দেশটির এমন অভিযোগ।

চলমান বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয় গত ১৭ এপ্রিল। তাঁরা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের অবসান দাবি করছেন। ফিলিস্তিনের উপত্যকাটিতে গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় অভিযানে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন