তাঁর ধৈর্যের প্রশংসা করতেই হয়। যিনি এক বছরে দেখেছেন ৭৭৭টি চলচ্চিত্র। এর মধ্য দিয়ে নিজে করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি। এ নিয়ে গতকাল শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক পোস্ট।
ওই ব্যক্তির নাম জ্যাক সোয়াপ। বয়স ৩২ বছর। বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে। এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে জ্যাক ভেঙেছেন ফ্রান্সের নাগরিক ভেসোঁ খুঁনের রেকর্ড। ভেসোঁ ২০১৮ সালে ৭১৫টি চলচ্চিত্র দেখে এমন রেকর্ড নিজের করেছিলেন।
জ্যাক সোয়াপ ২০২২ সালের ৫ জুলাই থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্র দেখা শুরু করেন। তিনি পূর্ণকালীন চাকরিজীবী। তিনি সকাল পৌনে সাতটা থেকে বেলা পৌনে তিনটা পর্যন্ত কাজ করেন। এরপর চলচ্চিত্র দেখার জন্য চলে যেতেন থিয়েটারে। কাজের দিনগুলোতে প্রতিদিন তিনি তিনটি পর্যন্ত চলচ্চিত্র দেখতেন। আর বন্ধের দিনগুলোতে সাধারণত আরও দুটি বেশি চলচ্চিত্র দেখা হতো তাঁর। এর আগে তিনি বছরে ১০০ থেকে ১৫০টি চলচ্চিত্র দেখতেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম অনুযায়ী, চলচ্চিত্র দেখার সময় জ্যাক অন্য কোনো কাজ করতে পারতেন না। এমনকি পানি পান বা মুঠোফোনের কল ধরার মতো কাজও না। তাঁর চলচ্চিত্র দেখার সময়গুলো কাছ থেকে থিয়েটার ও গিনেসের প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষণ করতেন।
জ্যাক সোয়াপ তাঁর স্বীকৃতির জন্য চলচ্চিত্র দেখার প্ল্যাটফর্ম ‘রিগ্যাল সিনেমাস’ বেছে নিয়েছিলেন। রিগ্যাল কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে মাত্র ২২ ডলার তথা ২ হাজার ৪০০ টাকায় তাঁকে যত ইচ্ছা তত সংখ্যক চলচ্চিত্র দেখার অনুমতি দেয়। জ্যাক বিভিন্ন ঘরানার চলচ্চিত্র দেখেছেন। তবে তিনি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাঁর এই চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান কৌতুকধর্মী অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র মিনিয়নস: দ্য রাইস অব গুরু। আর তিনি এই যাত্রার সমাপ্তি ঘটান ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেসটিনির মাধ্যমে।
জ্যাক সোয়াপ জানিয়েছেন, তিনি এই রেকর্ড করেছেন অটিজম ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। তিনি জানান, তিনি নিজেও আত্মহত্যা থেকে বেঁচে ফেরাদের একজন। জ্যাকের ইচ্ছা, তিনি এক বছরে আরও বেশিসংখ্যক চলচ্চিত্র দেখে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙবেন।