অ্যাসাঞ্জের নিজ দেশে ফিরতে কত খরচ
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত থেকে মুক্ত হয়ে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার উদ্দেশে রওনা হন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ভাড়া করা একটি ব্যক্তিগত (চার্টার্ড) উড়োজাহাজে চেপে ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ফিরেছেন তিনি।
মাল্টাভিত্তিক চার্টার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিস্তা জেট পরিচালিত উড়োজাহাজে করে অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানে আসেন। সাইপানের আদালত তাঁকে মুক্ত ঘোষণা করলে তিনি এই উড়োজাহাজে করেই ক্যানবেরার উদ্দেশে রওনা দেন।
যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র হয়ে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত চার্টার্ড উড়োজাহাজে করে যেতে অ্যাসাঞ্জের কত খরচ হচ্ছে, সে বিষয়ে তথ্য জানিয়েছে তাঁর সহযোগীরা। তাঁরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে মোট ৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার (৪ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড) খরচ হচ্ছে।
আপাতত অস্ট্রেলিয়ার সরকার এই খরচ দিচ্ছে। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের আশা, অ্যাসাঞ্জ পরে এই অর্থ পরিশোধ করে দেবেন।
এই খরচের অর্থ তুলতে তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি ‘ক্রাউডফান্ডিং’ আবেদন চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ লাখ ৭৭ হাজার পাউন্ড অর্থ পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসের এলাকা সাইপান থেকে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় যেতে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে।
উইকিলিকস কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা একটি সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা করছে। এই সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসাঞ্জ থাকবেন কি না কিংবা কথা বলবেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ।
যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ থেকে বাঁচতে তিনি সাত বছর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে ছিলেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে লন্ডন পুলিশ। পাঁচ বছরের বেশি সময় অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাজ্যের কারাগারে ছিলেন। সেখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির ভিত্তিতে গত সোমবার সেখান থেকে অ্যাসাঞ্জ মুক্ত হন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানে যান।
আজ সাইপানের আদালতে তিন ঘণ্টার শুনানিতে অংশ নেন অ্যাসাঞ্জ। সমঝোতা অনুযায়ী, আদালতে অ্যাসাঞ্জ অভিযোগ স্বীকার করার পর তাঁকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা করেন।