প্রাথমিক ভোট গণনার ফল যে কারণে বিভ্রান্তিকর হতে পারে

ভোট দেওয়ার আগে কেন্দ্রে ঢুকছেন কয়েকজন ভোটার। মঙ্গলবার জর্জিয়ার একটি ভোটকেন্দ্রেছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। শেষ হওয়ার পরপর শুরু হবে গণনা। প্রাথমিক গণনার ফলাফলের ভিত্তিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস নাকি রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প—কে বিজয়ী হচ্ছেন, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তবে দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। সেখানে প্রাথমিক গণনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত বিজয়ী কে হচ্ছেন, সে আভাস পাওয়া কঠিন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথাই। সেবার দোদুল্যমান কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের রাতে প্রাথমিক গণনার ফলাফল দেখে মনে হয়েছিল ট্রাম্প জয় পেতে চলেছেন। পরে দেখা যায়, ডাকযোগে বেশির ভাগ ভোট পড়েছিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে। ওই ভোট গণনার পর চূড়ান্তভাবে তিনি বিজয়ী হন।

আরও পড়ুন

২০২০ সালে যে এমন কিছু হতে পারে, তা আগেভাগেই অনুমান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পরাজয়ের পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন—ভোটে কারচুপি হয়েছে। একই পরিস্থিতি কিন্তু এবারও দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে।

এর বিপরীতটাও আবার ঘটতে পারে। যেমন কোনো অঙ্গরাজ্যে প্রাথমিক ভোট গণনার ফলাফলে কমলা এগিয়ে থাকলেও পরে গিয়ে ট্রাম্প জিতে যেতে পারেন। বিশেষ করে নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায় এমনটি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবার ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা যদি মনে করে রিপাবলিকানরা ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন, তা হলে ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। দেশটির মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য দরকার ২৭০টি ভোট।

আরও পড়ুন

কিন্তু ট্রাম্প শিবিরের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে বিশেষজ্ঞরা অপরিণত বলে মনে করেন। কারণ দুটি। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রে ডাকযোগে ও আগেভাগে বিপুল মানুষ ভোট দেন। এসব ভোটের প্রক্রিয়া ও গণনা পদ্ধতি একেক অঙ্গরাজ্যে একেক রকম। এ ছাড়া ডেমোক্র্যাট ভোটারদের বড় একটা অংশ জনবহুল শহরগুলোতে বাস করে। এসব এলাকায় ভোট গণনা করতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগে।

আরও পড়ুন