বাংলাদেশে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, বাংলাদেশে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান (জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক) তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান হুমকি ও ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অবশ্য তিনি সরাসরি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিযুক্ত করেননি। তবে মুহাম্মদ ইউনূস এই উদ্বেগগুলোকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছেন। এগুলোকে অসত্য বলে অভিহিত করেছেন। তবে গতকাল (গত মঙ্গলবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খিলাফতপন্থী একটি বড় সমাবেশ হয়েছে। বিষয়টি পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মার্কিন সরকারের চলমান উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কি মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে?
জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘আমরা যেকোনো দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি যেকোনো সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই। আমরা এটাই দেখছি। এটাই আমরা আশা করি এবং এটাই অব্যাহত থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড গতকাল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদ্বেগের একটি মূল জায়গাজুড়ে’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশে ‘ইসলামি চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদী উপাদানের’ উত্থান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা মাত্র শুরু হচ্ছে। কিন্তু এটি উদ্বেগের মূল জায়গার একটি হয়ে রয়েছে।
তুলসী গ্যাবার্ডের এসব মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।