কর ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করলেন বাইডেনপুত্র হান্টার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন গতকাল বুধবার কর ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কর ফাঁকি ছাড়াও হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ আছে। এই অভিযোগের শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। আর কর ফাঁকির অভিযোগের শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছর হতে পারে।
২০১৭ ও ২০১৮ সালে সাড়ে ১৩ লাখ ডলার আয়ের ওপর হান্টার বাইডেন কর দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। ৫৪ বছর বয়সী হান্টার একজন আইনজীবী ও ব্যবসায়ী।
এর আগে অবশ্য কর ফাঁকির অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে চুক্তি করেছিলেন হান্টার বাইডেন। বুধবার এই চুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক ম্যারিইলেন নোরাইকা। চুক্তিতে কর ফাঁকির মামলার সঙ্গে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগের মামলা কেন রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ ছাড়া ভবিষ্যতে হান্টারের ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত থেকে যদি আরও কিছু অপরাধ বেরিয়ে আসে, তাহলে সেসব থেকেও এই চুক্তি তাঁকে মুক্তি দেবে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারক নোরাইকা৷
আইনজীবীরা এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারায় বিচারক জানান, তিনি দোষ স্বীকারের চুক্তি মানতে পারবেন না।
বিচারকের এমন বক্তব্যের পর হান্টার বাইডেন কর ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরপর মামলার দুই পক্ষকে ৩০ দিন সময় দেন বিচারক।
এদিকে প্রসিকিউটর ডেভিড ওয়াইস নিশ্চিত করেন যে তাঁর কার্যালয় হান্টার বাইডেনের অন্যান্য সম্ভাব্য অপরাধ নিয়ে তদন্ত করছে। জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় চীন ও ইউক্রেনের সঙ্গে হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়, তা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে বলে আদালতকে জানানো হয়েছে৷
হান্টার বাইডেনের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার চুক্তিটি ২০ জুন প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর রিপাবলিকান সদস্যরা হান্টার বাইডেনকে একটি ‘সুইটহার্ট ডিল' দেওয়া হচ্ছে বলে প্রসিকিউটর ডেভিড ওয়াইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জ্য-পিয়ের বুধবার বলেন, ‘হান্টার বাইডেন একজন বেসরকারি ব্যক্তি। এটা একটা ব্যক্তিগত বিষয়।’