কেন্টাকিতে আদালত ভবনের ভেতর বিচারককে গুলি করে হত্যা, শেরিফ গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে আদালত ভবনের ভেতরে বাগ্বিতণ্ডার পর এক বিচারককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এক শেরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৪৩ বছর বয়সী ওই শেরিফের নাম মিকি স্টিনেস। তিনি কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লেচার কাউন্টির শেরিফ।
কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেচার কাউন্টি আদালত ভবনে বিচারক কেভিন মুলিন্সকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৫৪ বছর বয়সী মুলিন্স ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ছাড়াই শেরিফ মিকি স্টিনেসকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বিচারককে গুলি করার পেছনে কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা উল্লেখ করেনি পুলিশ।
স্টিনেসের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার (ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার) একটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক্সে দেওয়া পোস্টে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার লিখেছেন, ‘এ বিশ্বে অনেক বেশি সহিংসতা হচ্ছে। সুন্দর আগামীর পথ তৈরি হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি।’
কেন্টাকির অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল কোলম্যান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, তাঁর কার্যালয় এ মামলাটি নিয়ে বিশেষ কৌঁসুলির সঙ্গে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি তদন্ত করব এবং ন্যায়বিচার চাইব।’
কেন্টাকির বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, আজ (বৃহস্পতিবার) লেচার কাউন্টিতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কে আদালত অবগত আছে। অঙ্গরাজ্য পুলিশকে তাদের তদন্তে পুরোপুরি সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
লেচার কাউন্টির হুইটসবার্গ আসনে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। লুইসভিলে থেকে প্রায় ২২০ মাইল দক্ষিণ–পূর্বে এবং ভার্জিনিয়া সীমান্তের কাছে হুইটসবার্গের অবস্থান।
হুইটসবার্গভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মাউন্টেন ইগলের প্রতিবেদনে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, স্টিনেস প্রথমে ওই বিচারকের কার্যালয়ের অভ্যর্থনা কক্ষে যান। সেখানে তিনি আদালতের কর্মীদের বলেন যে বিচারক মুলিন্সের সঙ্গে তাঁর একান্তে কথা বলা প্রয়োজন। এরপর মুলিন্সের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যান স্টিনেস। তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ভেতর থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
মাউন্টেন ইগলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার পর স্টিনেস তাঁর হাত উঁচু করে হেঁটে বের হয়ে আসেন এবং পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।