পুতিনের জন্য গোপনে করোনা পরীক্ষার যন্ত্র পাঠান ট্রাম্প: নতুন বইয়ে দাবি
যুক্তরাষ্ট্রে তখন করোনা পরীক্ষার যন্ত্রের বেশ সংকট চলছে। এর মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য যন্ত্র পাঠিয়েছিলেন সাবেক (তৎকালীন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যন্ত্র পাঠানোর এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হয়েছে বেশ গোপনে।
নতুন একটি বইয়ে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বইটির নাম ‘ওয়ার’। লিখেছেন বব উডওয়ার্ড। তিনি একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিক। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সাড়াজাগানো ‘ওয়াটারগেট কেলেংকারির’ ঘটনায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কারণে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।
তবে ববের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে ট্রাম্পের প্রচারশিবির। আসছে নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে জিতে তিনি আবার হোয়াইট হাউসে যেতে চান। এখন চলছে জোর প্রচারণা।
বইয়ে বব দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও পুতিনের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখেছেন ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এমনটাই জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের প্রচারশিবির বলছে, এসব অভিযোগের পুরোটাই ‘মনগড়া গল্প’। কোনো সত্যতা নেই।
প্রচারশিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ছাইপাশ বইয়ের জন্য তাঁকে (বব) কোনো সুযোগ দেননি। এটা কোনো বইয়ের দোকানে কল্পকাহিনী বিভাগে ছাড়ে বিক্রি হওয়া বইয়ের সঙ্গে পড়ে থাকবে। নয়তো টয়লেট টিস্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে।’
২০২১ সালে ববের আরেকটি বই বেরিয়েছিল। নাম ‘রেজ’। বইটির কারণে ববের বিরুদ্ধে মামলা করেন ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্টের দাবি, বব তাঁদের মধ্যকার কথোপকথনের বেশকিছু রেকর্ডিং প্রকাশ করেছেন। তাঁকে এসব রেকর্ডিং প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদিও বব তা অস্বীকার করেছেন।
নতুন বইটিতে বলা হয়েছে, পুতিনের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখতে সাবেক প্রেসিডেন্টের একজন সহযোগী ভূমিকা রাখতেন। যদিও তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ববের লেখা নতুন বইয়ে একটি ঘটনার বর্ণনা আছে। তখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিডায় তাঁর মার–এ–লাগো রিসোর্টে নিজের দপ্তরে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁর একজন সহযোগীকে বের করে দেওয়া হয়, যাতে তিনি পুতিনের সঙ্গে নির্বিঘ্নে ফোনে কথা বলতে পারেন।
ট্রাম্পের ওই সহযোগীর নামও প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বলেছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে পুতিনের সঙ্গে ‘অর্ধডজন বার’ ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। তবে তাঁরা কী বিষয়ে কথা বলতেন, সেসব এ বইয়ে উল্লেখ নেই।