হ্যাকিংয়ের কবলে ট্রাম্পের প্রচারশিবির, অভিযোগের আঙুল ইরানের দিকে
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের অভ্যন্তরীণ কিছু তথ্য হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছে। গতকাল শনিবার ট্রাম্পের প্রচারশিবির অভিযোগ করে, এ হ্যাকিংয়ের পেছনে ইরান সরকার দায়ী। সরাসরি তথ্যপ্রমাণ না দিলেও ইরানের সঙ্গে ট্রাম্পের অতীতের বিরোধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের এমন অভিযোগের আগেই সংবাদ ওয়েবসাইট পলিটিকো এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, গত জুলাই থেকেই তারা বেনামি একটি উৎস থেকে ই–মেইল পেতে শুরু করে। এসব ই–মেইলে ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের কর্মকাণ্ডের অভ্যন্তরীণ ও প্রকৃত কিছু তথ্য ছিল।
এমনকি অজ্ঞাত উৎস থেকে পাওয়া ই–মেইলে ট্রাম্পের রানিং মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্সের ‘সম্ভাব্য দুর্বলতা’ নিয়েও তথ্য ছিল বলে জানিয়েছে পলিটিকো।
ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং এক বিবৃতিতে বলেন, এসব নথি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বৈরী বিদেশি শক্তির কাছ থেকে অবৈধভাবে পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার ও মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়েছিল।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিচয় ও তাদের উদ্দেশ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে অনুরোধ করা হলেও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা জাতিসংঘের প্রতিনিধি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে জাতিসংঘে ইরানের মিশন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। কখনোই এতে হস্তক্ষেপ করে না ইরান।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনাকর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ছিল। ২০২০ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট, তখন ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে ওয়াশিংটন। ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প।
স্টিভেন চিউং বলেন, ‘ইরানিরা এটা জানে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে গেলে তাঁর প্রথম চার বছরের মেয়াদের মতোই তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব বন্ধ করবেন।’
গত জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পৃক্ততা নিয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। কিন্তু সংবাদমাধ্যম সিএনএন গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্পের ওপর হামলা চালাতে ইরানের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে, এমন তথ্য মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে আছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।