- ৩০০–এর বেশি ইলেকটোরাল ভোট পেতে পারেন ট্রাম্প
- শুরুতেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে ট্রাম্প
- বিশ্ব শেয়ারবাজারে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে
- মহাকাশ থেকে নভোচারীরা যেভাবে ভোট দেন
এ জয়কে ‘রাজনৈতিক বিজয়’: ট্রাম্প
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্যর এক পর্যায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ জয়কে ‘রাজনৈতিক বিজয়’ বলে মন্তব্য করেন। আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করায় ভোটারদের ধন্যবাদ জানান আমেরিকার ৪৫তম এই প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্যর সময় পাম বিচের জড়ো হওয়া জনতারা ‘আমেরিকা’, ‘আমেরিকা’, ‘আমেরিকা’।
স্ত্রী মেলানিয়া, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্সদের সামনেই সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রতিটি দিন আমি আপনারদের জন্য লড়াই করে যাব।’
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে ২৬৭টি ইলেকটোরাল কলেজ। কমলা হ্যারিসের ঝুলিতে ২২৪টি। আর মাত্র তিনটি ইলেকটোরাল কলেজ পেলেই আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হয়ে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি।
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্য দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্য দিচ্ছেন রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে আছে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্স।
বক্তব্যের এক পর্যায়ের ট্রাম্প ভোটার এবং স্ত্রী মেলানিয়াকে ধন্যবাদ দেন। তুমুল করতালির মধ্য থেমে থেমে বক্তব্য দিচ্ছেন ট্রাম্প।
পেনসেলভেনিয়ায় জিতলেন ট্রাম্প, দরকার আর ৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট
পেনসেলভেনিয়ায় জিতলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান সাত রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় রাজ্য হিসেবে পেনসিলভানিয়ার ফল প্রকাশ হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবর অনুযায়ী, সেখানে জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাঁর এ জয়ের মাধ্যমে ইলেকটোরাল কলেজের ২৬৬টি ভোট নিশ্চিত হলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে গেলে ইলেকটোরাল কলেজের ২৭০টি ভোট দরকার পড়ে।
নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ আলাস্কা এবং হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে ভোট শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এবারের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হলো। এখন পর্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে হোয়াইট হাউস, সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ–সব জায়গাতেই এগিয়ে আছে রিপাবলিকানরা।
আবার ব্যবধান বাড়ালেন ট্রাম্প, সুইং স্টেটে ০-২–তে পিছিয়ে কমলা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাত দোদুল্যমান রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয়টিতেও (জর্জিয়া) জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ অঙ্গরাজ্যে ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট তিনি পেলেন।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, এখন পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত) ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪৭ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। ২১০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। এখন পর্যন্ত ৪২টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, বাকি পাঁচটিতেও এগিয়ে ট্রাম্প।
দ্বিতীয় দোদুল্যমান রাজ্যেও জিতলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাত দোদুল্যমান রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয়টিতেও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় রাজ্য জর্জিয়াতে জিতেছেন ট্রাম্প। এ অঙ্গরাজ্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ১৬টি।
এর আগে নর্থ ক্যারোলাইনাতে জিতেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প । সাত দোদুল্যমান রাজ্যগুলো হলো জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও উইসকনসিন।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, বাকি পাঁচটিতেও এগিয়ে ট্রাম্প।
ট্রাম্প ২৩০, কমলা ২১০: গার্ডিয়ান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইলেকটোরাল কলেজে ভোটের ব্যবধান কমিয়ে আনছেন কমলা হ্যারিস। শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প কমলার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনছেন কমলা হ্যারিস।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, এখন পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত) রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। ২১০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন। এখন পর্যন্ত ৪১টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের হিসেব বলছে, প্রাপ্ত ভোটের হার বেড়েছে কমলার। আপাতত ৪৭ শতাংশ। ট্রাম্পের কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ শতাংশ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ছিল ২৩০টি ও কমলা হ্যারিসের ১৮২টি। এ সময় ব্যবধান ছিল ৪৮।
ট্রাম্প ২৩০, কমলা ২০৯: গার্ডিয়ান
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা পর্যন্ত) রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ২০৯ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪১টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
৫৩৮ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগার ২৭০। এই ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেলেই হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
৭ দোদুল্যমান রাজ্যের একটিতে জিতলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাত দোদুল্যমান রাজ্যের ভূমিকা ব্যাপক। এই রাজ্যগুলো হলো জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও উইসকনসিন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম নর্থ ক্যারোলাইনার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথে অনেকটা এগিয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৩০০–এর বেশি ইলেকটোরাল ভোট পেতে পারেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এখন যে পরিস্থিতি তাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলেকটোরাল কলেজের ৩০১টি ভোট পেতে পারেন। আর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেতে পারেন ২৩৭টি ভোট। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিউইয়র্ক টাইমস লাইভে এ কথা জানিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় জয়ের পথে কমলা
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় জয়ে পেতে যাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। ৪০ লাখ ভোটারের এ অঙ্গরাজ্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ৫৪টি।
সাত দোদুল্যমান রাজ্য এগিয়ে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাত দোদুল্যমান রাজ্যের দিকে সকলেরই দৃষ্টি থাকে। সেই রাজ্যগুলো হলো জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং উইসকনসিন। এখন যে পরিস্থিতি তাতে সব কটিতে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, সাত রাজ্যের মধ্যে জর্জিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনা ট্রাম্প প্রায় নিশ্চিত জেতার পথে। প্রেসিডেন্ট হতে গেলে কমলা হ্যারিসকে এসব রাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে জিততেই হবে। তবে এ তিন রাজ্যেও এখন ট্রাম্প এগিয়ে।
দোদুল্যমান তিন অঙ্গরাজ্যে ভোট শেষ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে যে সাতটি অঙ্গরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তার তিনটি অ্যারিজোনা, মিশিগান ও উইসকনসিনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এবার ফলাফল ঘোষণার পালা। এসব অঙ্গরাজ্য মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ৯৩টি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই তিন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে উইসকনসিনে ১০টি, মিশিগানে ১৫ এবং অ্যারিজোনায় ১১টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।
গতবার মিশিগানে জিতেছিলেন বর্তমান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০১৬ সালে এই অঙ্গরাজ্যে জিতেছিলেন বর্তমান রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অ্যারিজোনায় ২০২০ সালে জো বাইডেন জিতেছিলেন।
শুরুতেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত) রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ১৭৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ৯১ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। ৫৩৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগার ২৭০।
বিশ্ব শেয়ারবাজারে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে
মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনে বিশ্ব শেয়ারবাজারে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে। বিবিসির বিজনেস রিপোর্টার জোয়াও দা সিলভা বলছেন, মার্কিন ডলার অন্য প্রধান মুদ্রার তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। নির্বাচনের ফলাফল বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিশেষ করে এশিয়ায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হ্যারিস জয়ী ইলিনয়ে, ট্রাম্প আরও দুটি অঙ্গরাজ্য
ডেমোক্র্যাটিক দলের কমলা হ্যারিস ইলিনয়ে জয়ী হয়েছেন। ট্রাম্প আরও দুটি অঙ্গরাজ্য। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিস ইলিনয় অঙ্গরাজ্য এবং রোড আইল্যান্ডে জয় পেয়েছেন। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প লুইজিয়ানা এবং মিসিসিপিতে জয় পেয়েছেন।
এএফপির খবরে আরও বলা হয়েছে, নিউইর্য়কে জয় পেয়েছেন কমলা হ্যারিস।
ফ্লোরিডায়ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নিজ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২৪ বছর আগে এ অঙ্গরাজ্যের কারণে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন রিপাবলিকান দলের জর্জ ডব্লিউ বুশ। ডেমোক্র্যাট দলের আল গোরকে হারিয়েছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত, ৭৩ শতাংশ ভোট গণনার পরে দেখা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২ সালে, রিপাবলিকান প্রার্থীরা সহজে জয় পেয়েছিল। ২০১৮ সালে এখানে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য সত্ত্বেও রিপাবলিকানরা গভর্নর এবং সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিল। ফ্লোরিডা এখন একটি লাল রাজ্য।
ফ্লোরিডায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ৩০। এই অঙ্গরাজ্যে জয়ের মধ্য দিয়ে এখানকার ৩০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ট্রাম্পের ঝুলিতে জমা হলো।
ফ্লোরিডা একসময় দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু ফ্লোরিডা এখন পুরোপুরি রিপাবলিকান বা লাল অঙ্গরাজ্য।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প পেয়েছেন প্রায় ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। আর তাঁর প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।
ট্রাম্প জিততে চলেছেন সাউথ ক্যারোলাইনায়
ডোনাল্ড ট্রাম্প সাউথ ক্যারোলাইনায় জিততে চলেছেন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিবিএস–এর বরাতে বিবিসি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সাউথ ক্যারোলাইনায় জয়ী হবেন। এ অঙ্গরাজ্য ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট মোট ৯টি।
জর্জিয়ায় শুরুতেই এগিয়ে ট্রাম্প
অন্যতম অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় ভোট গণনা চলছে। ৪০ লাখে ভোটের ফল ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে। শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন ৷ বিবিসির খবরে বলা হয়েছে ছোট গ্রামীণ কাউন্টি গুলোতে রিপাবলিকানরা বেশি ভোট পেতে পারে। আর বড় বড় শহুরেগুলোতে ডেমোক্র্যাটিকরা। ফল পেতে বেশ দেরি হতে পারে। এ খানে ৫০ শতাংশ ভোট গনণার পরে এখানে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প ৫৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিস ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এ অঙ্গরাজ্য ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ১৬টি।
ট্রাম্প ২৩, কমলা ৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেন্টাকি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পাচ্ছেন বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিবিসি।
অপরদিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারমন্টে জয় পাবেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
বুথফেরত জরিপ: দোদুল্যমান ৭ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প-কমলা কে কতটা এগিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্য। তাই প্রচারের জন্য নির্বাচনের আগে দীর্ঘ সময় ধরে এই অঙ্গরাজ্যগুলো চষে বেড়িয়েছেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তা কতটুকু কাজে এসেছে, তা বোঝা যাবে এই অঙ্গরাজ্যগুলোয় ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় নির্বাচন ঘিরে প্রথম ধাপের বুথফেরত জরিপ প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান এডিসন রিসার্চ। প্রাথমিক এই জরিপে চূড়ান্ত ফলাফল সম্পর্কে কিছুটা আগাম ধারণা পাওয়া যায়। তবে এই জরিপকে চূড়ান্ত ফলাফল বলে ধরে নেওয়া যাবে না। কারণ, জরিপের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জরিপের ফলে পরিবর্তন আসতে পারে।
সিএনএনের বুথফেরত জরিপ: যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতিতে অসন্তোষ তিন-চতুর্থাংশ ভোটারের
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতে সন্তুষ্ট নন দেশটির তিন-চতুর্থাংশ ভোটার। অপরদিকে মাত্র এক-চতুর্থাংশ ভোটার দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে সিএনএনের করা প্রাথমিক বুথফেরত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুথফেরত জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন ভোটারের ৪ জনই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতিতে অসন্তুষ্ট। আর ১০ জনের ৩ জন বলেছেন, তাঁরা দেশের বর্তমান হালচালে ক্ষুব্ধ। মাত্র এক-চতুর্থাংশ দেশের পরিস্থিতিতে উৎসাহ ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
হাওয়ার্ডের বাইরে জড়ো হয়েছেন কমলার সমর্থকেরা
ওয়াশিংটন ডিসিতে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির বাইরে জড়ো হয়েছেন কমলা হ্যারিসের সমর্থকেরা। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে কমলার। কমলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ভোটাররা: বুথফেরত জরিপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বুথফেরত জরিপের প্রথম দফার ফল পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটাররা গণতন্ত্রের অবস্থাকে প্রথম বিষয় হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছেন।
জরিপে মতামত দেওয়া মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বলেছেন, গণতন্ত্রই তাঁদের কাছে প্রধান বিবেচ্য। এরপর এসেছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। প্রতি ১০ জন ভোটারের মধ্যে ৩ জন অর্থনীতির কথা বলেছেন।
এরপর গর্ভপাত ও অভিবাসনের প্রসঙ্গ এসেছে। সবচেয়ে কম ভোটার বলেছেন পররাষ্ট্রনীতির কথা।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে
অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
মহাকাশ থেকে নভোচারীরা যেভাবে ভোট দেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার ভোট দিচ্ছেন দেশটির নাগরিকেরা। দেশটির নাগরিকদের কেউ কেউ নভোচারী। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার বর্তমানে রয়েছেন মহাকাশে। তাঁরা ভোট দেবেন কীভাবে। সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। নাসার প্রকাশিত এক পডকাস্টে বলা হয়েছে, মার্কিন নভোচারীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা মহাকাশের যেখানেই থাকেন না কেন, ভোট দিতে পারবেন। তাঁদের ভোটদানের বিষয়টি দেখভাল করেন ভূপৃষ্ঠে থাকা নাসার দুই কর্মকর্তা—মার্টা ডুরহ্যাম ও কারেন অ্যাডকিনস।
ভোটে ট্রাম্প জিতলে হামলা চালানোর হুমকি, তরুণ গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতলে হামলা চালাবেন—এমন হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক মার্কিন তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে মিশিগান অঙ্গরাজ্য থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই তরুণের নাম আইজ্যাক সিসিল (২৫)। যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ন্যাশনাল থ্রেট অপারেশনস সেন্টারে ওই হুমকি পাঠিয়েছিলেন সিসিল। তিনি লিখেছিলেন, রক্ষণশীল ট্রাম্প জিতলে হামলা চালাবেন তিনি।
ভোটকেন্দ্রে রাশিয়ার বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করল এফবিআই
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালে একাধিক ভোটকেন্দ্রে বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)। সংস্থাটি বলছে, এসব হুমকির বেশ কয়েকটি রাশিয়া থেকে এসেছে। তবে সেগুলোর কোনোটিই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় বোমা হামলার হুমকির পর ভোটদানে বাধা পড়েছে বলে সেখানকার কর্তৃপক্ষের ঘোষণার মধ্যেই এমন সতর্কবার্তা দিল এফবিআই। এফবিআইয়ের মুখপাত্র সাভানাহ সিমস এক বিবৃতিতে বলেন, বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে অবগত আছে এফবিআই। সেগুলোর অনেকগুলোই রাশিয়ার ই-মেইল ডোমেইন থেকে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক ভোট গণনার ফল যে কারণে বিভ্রান্তিকর হতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। শেষ হওয়ার পরপর শুরু হবে গণনা। প্রাথমিক গণনার ফলাফলের ভিত্তিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস নাকি রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প—কে বিজয়ী হচ্ছেন, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
তবে দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। সেখানে প্রাথমিক গণনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত বিজয়ী কে হচ্ছেন, সে আভাস পাওয়া কঠিন।
কমলার জয় নিয়ে আশাবাদী স্বামী এমহফ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসই জয়ী হতে চলেছেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তাঁর স্বামী ডগ এমহফ। মঙ্গলবার বিকেলে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে ভোটারদের শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।
ডগ এমহফ বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা এই নির্বাচনে জিতছি। আমরা মিশিগানে জিততে যাচ্ছি। আপনারা জানেন, আগামীকাল বা এর পরে আমি তার দিকে তাকিয়ে বলতে চাই, প্রিয়তমা তুমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।’
ভোটের আগের রাতে ফিলাডেলফিয়ায় শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় স্ত্রী কমলার সঙ্গে থাকা ডগ এমহফ বলেন, ‘আপনারা আনন্দ উদ্যাপন দেখতে চলেছেন।’
তথ্যসূত্র: সিএনএন
নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যা যা হলো
যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে ভোট শুরু হয়েছে। সর্বশেষ ভোট শুরু হয়েছে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে। আর ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রথম ভোট হয় নিউ হ্যাম্পশায়ারের ছোট্ট শহর ডিক্সভিল নচে। সেখানকার কেন্দ্রে এবার ভোটার ছয়জন। কমলা ও ট্রাম্প সমানসংখ্যক তথা ৩-৩ ভোট পেয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে ফ্লোরিডার পাম বিচে ভোট দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব ভালো করছি।’
কমলা হ্যারিস আগেই ভোট দিয়েছেন। গত সপ্তাহে তিনি ডাকযোগে তাঁর ব্যালট পাঠিয়ে দেন।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিয়া কাউন্টিতে সফটওয়্যারের ত্রুটির কারণে ভোট গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। সেখানে ভোট দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে।
জর্জিয়ার পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে অবিশ্বাসযোগ্য বোমার হুমকি ছিল। এ পরিস্থিতিতে দুটি ভোটকেন্দ্র থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। একই কারণে কোব কাউন্টিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয় দেরিতে। জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার দিক থেকে এই হুমকি এসেছিল।
জনমত জরিপগুলোতে কমলা হ্যারিস দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ভালোভাবে এবং উইসকনসিন ও মিশিগানে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আর নেভাদা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও অ্যারিজোনায় সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প হারলে স্কটল্যান্ডে গলফ খেলা উচিত: নাইজেল ফারাজ
নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের কাছে পরাজিত হলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হার মেনে নেওয়া উচিত হবে। সেই সঙ্গে তাঁর (ট্রাম্প) তখন স্কটল্যান্ডে গলফ খেলতে আসা উচিত হবে। এমনটাই মনে করছেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) ও রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজ।
ট্রাম্পের বন্ধু নাইজেল ফারাজ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর (কমলা হ্যারিস) উদ্দেশে বলেছেন, এবারের নির্বাচন ঘিরে অশান্তির হুমকি ‘কমানোর জন্য’ ট্রাম্পকে ক্ষমা করা উচিত। নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অশান্তি ছড়াবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন যুক্তরাজ্যের এই রাজনীতিক। খবর গার্ডিয়ানের।
নির্বাচনে ভুয়া তথ্যের কেন্দ্রে মাস্ক ও তাঁর ‘এক্স’
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ধনকুবের ইলন মাস্কের করা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক দাবি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ বছর ২০০ কোটিবার দেখা হয়েছে। ‘সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট’ নামের অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় সময় গত সোমবার বলেন, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যগুলোয় ভুয়া তথ্য ছড়াতে মূল ভূমিকা পালন করেছে। এসব দোদুল্যমান রাজ্যই শেষ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয় ঠিক করে দেবে।
নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালান মাস্ক। একই সঙ্গে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট টানতে বিপুল পরিমাণ অর্থও ব্যয় করেছেন তিনি। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়িয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ব্যাপকভাবে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রে উত্তেজনার পারদ চড়ছে
চলছে ভোট গ্রহণ। নিজেদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা। চারপাশে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তার আবহ। নির্বাচন ঘিরে অন্যান্যবার যতটা অনিশ্চয়তা দেখা যায়, এবারের আবহ যেন তার চেয়েও উত্তেজনাকর।
সর্বশেষ জনমত জরিপগুলো বলছে, এবার খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে, যেটা অন্যান্যবার দেখা যায়নি। কেউ জানেন না, এবার কে জিততে চলেছেন।
তবে এখন এটাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নয়। নির্বাচনের ফল কখন জানা যাবে, এটা নিয়েও ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। পেনসিলভানিয়ার মতো কয়েকটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ভোটের চূড়ান্ত গণনা শেষ হতে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ভোটের ফল জানার পর জনমনে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়—সেটা নিয়েও আতঙ্ক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে ওয়াশিংটন, অরিগন ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যে এরই মধ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
মার্কিন ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনের টানা টালমাটাল প্রচারণা দেখতে দেখতে তাঁরা পরিশ্রান্ত। তাঁরা চান, এটা শেষ হোক। তবে ব্যাপকভাবে বিভক্ত দেশে পরবর্তী সময়ে কী ঘটতে চলেছে, সেটা নিয়েও তাঁরা শঙ্কিত।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
১০ অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে গর্ভপাত ইস্যু
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। মার্কিন ভোটারেরা কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালটে নিজেদের রায় জানাচ্ছেন। বেছে নিচ্ছেন দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তবে ১০টি অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে যুক্ত রয়েছে আলোচিত–সমালোচিত গর্ভপাত ইস্যু।
অঙ্গরাজ্যগুলো হলো—অ্যারিজোনা, মিসৌরি, মন্টানা, নেব্রাস্কা, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, মেরিল্যান্ড, নেভাদা, নিউইয়র্ক ও সাউথ ডাকোটা। এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটারেরা নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে নিজেদের মত ব্যালটের মাধ্যমে জানাচ্ছেন।
আমি খুব আত্মবিশ্বাসী: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট দিয়েছেন। সিএনএন জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পসহ তিনি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচের এক কেন্দ্রে ভোট দেন।
ভোট দিয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। সব দেখে মনে হচ্ছে, রিপাবলিকানরা দলে দলে ভোট দিতে আসছেন।’ কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখে খুব ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
কমলা–ট্রাম্পের সঙ্গে আরও যে চার প্রার্থী
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আরও চারজন প্রার্থীর নাম ব্যালটে রয়েছে। তাঁরা হলেন—গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, স্বতন্ত্র কর্নেল ওয়েস্ট, লিবার্টারিয়ান পার্টির চেজ অলিভার এবং রবার্ট কেনেডি জুনিয়র।
তাঁদের মধ্যে গত আগস্ট মাসে রবার্ট কেনেডি জুনিয়র ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য তাঁর নাম ব্যালট থেকে সরাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। খবর এএফপির।
মার্কিন গোয়েন্দাদের যৌথ বিবৃতি: নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া
রাশিয়াসহ ‘প্রতিপক্ষ’ দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা নষ্ট করতে চায়। মঙ্গলবার এমন অভিযোগ করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, প্রতিপক্ষ দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা আমেরিকানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চায়।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই), জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় (ওডিএনআই) এবং সাইবার ও অবকাঠামো নিরাপত্তা সংস্থা (সিআইএসএ) যৌথ বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসে বসে ভোটের ফল দেখবেন জো বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল দেখবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনসহ হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
ভোটের দিনে ট্রাম্প ফ্লোরিডায়, কমলা ওয়াশিংটনে
আজ ভোটের দিনের শুরুতে মিশিগানে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের দিন তিনি কাটাবেন ফ্লোরিডায়। সেখানেই তিনি ভোট দেবেন। ভোটের পর পাম বিচে যাবেন তিনি।
আর নির্বাচনের রাত ওয়াশিংটনে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কমলা হ্যারিসের। এর বাইরে নির্বাচনের দিন তাঁর অন্য কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। খবর আল–জাজিরার।
আগাম ভোট পড়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরই মধ্যে প্রায় ৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির তথ্য, এর মধ্যে জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনাসহ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটাররাও রয়েছেন, যাঁদের ভোটে নির্ধারিত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন।
ভোট দিলেন ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্স
ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ভোট দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জে ডি ভ্যান্স। সিএনএন জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাটির সেন্ট অ্যান্থনি অব পাদুয়া গির্জায় স্থাপন করা কেন্দ্রে ভোট দেন রিপাবলিকান এ রাজনীতিক। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী উষা ও সন্তানেরা ছিলেন। ভোট দেওয়ার পর জে ডি ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বেশ ভালো বোধ করছি। নির্বাচনী লড়াইটা ভালো লাগছে।’
ভোটারদের কমলা বললেন, ‘আওয়াজ তুলুন’, ট্রাম্প বললেন, ‘এটা ভোট দেওয়ার সময়’
ভোটারদের উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন প্রধান দুই দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোট শুরুর পর এক এক্স পোস্টে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা লেখেন, ‘আমেরিকা, এটা আপনাদের আওয়াজ তোলার মুহূর্ত।’
অন্যদিকে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘এটা বেরিয়ে আসার ও ভোট দেওয়ার সময়। আমরা একসঙ্গে—আমেরিকাকে আবার মহান করতে পারব!’
ভোটের ব্যালট দুই বা তিন পাতার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপার বেশ দীর্ঘ। বিবিসির তথ্য, এটা দুই কিংবা তিন পাতার। ব্যালটে শুধু প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নাম নয় বরং পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের (প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট) প্রার্থীদের নাম থাকে। আরও থাকে কমিউনিটি পরিষেবায় অর্থায়নের মতো স্থানীয় নানা উদ্যোগ ও প্রস্তাবের পক্ষে–বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা। তাই অঙ্গরাজ্য বা এলাকাভেদে ব্যালটের আকারও ভিন্ন হয়। আর একেকটি ব্যালট পূরণ করতে ভোটারদের মোটামুটি ১০ মিনিট সময় লাগে।
পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান বেশি গুরুত্বপূর্ণ
দোদুল্যমান ৭ অঙ্গরাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই অঙ্গরাজ্যে যথাক্রমে ১৯ ও ১৫টি করে মোট ৩৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। এ কারণেই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেছেন পেনসিলভানিয়াতে। আর রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচারণা শেষ করেছেন মিশিগানে। এর আগের নির্বাচনে (২০২০) ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেন দুই অঙ্গরাজ্যেই জয় পেয়েছিলেন।
ভোটগ্রহণ চলছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন ভোটারেরা। নির্বাচনে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আভাস দিয়েছে বিভিন্ন জনমত জরিপ। বিশ্লেষকরাও তেমনটাই বলছেন।