গোপন নথি নিয়ে আরও বিপদ বাড়ল ট্রাম্পের
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার–এ–লাগোর বাড়ি থেকে জব্দ করা গোপন নথিগুলো বিশেষ আইনজীবীর মাধ্যমে পর্যালোচনার (স্পেশাল মাস্টার রিভিউ) সিদ্ধান্ত আদালতে খারিজ হয়ে গেছে। বিচার বিভাগের করা আবেদনের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত এমন রায় দিয়েছেন। খবর বিবিসির
এ রুলকে মার্কিন বিচার বিভাগের জন্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে ট্রাম্পের বিপদ আরও বাড়ল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ হোয়াইট হাউস ছেড়ে ব্যক্তিগত বাসভবনে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রয়েছে, তা তদন্ত করছে বিচার বিভাগ। গতকালের রুলের কারণে তদন্তকারীরা এখন পূর্ণাঙ্গভাবে নথিগুলো পর্যালোচনা করতে পারবেন।
আটলান্টাভিত্তিক ১১তম সার্কিট ইউএস কোর্টস অব আপিলের তিনজন বিচারপতির প্যানেল গতকাল রুলটি দিয়েছেন।
ট্রাম্পের বিশেষ পর্যালোচনার আবেদন মঞ্জুর করে একজন বিচারপতির সিদ্ধান্তকে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করার পর রুলটি দেওয়া হয়।
বিশেষ পর্যালোচনা বা স্পেশাল মাস্টার রিভিউ এর ক্ষেত্রে একজন স্বাধীনধারার আইনজীবী খতিয়ে দেখেন যে সংশ্লিষ্ট মামলায় নির্বাহী সুবিধার আওতায় কোনো নথি সাজানো হয়েছে কিনা। ট্রাম্পের ঘটনায় বিশেষ পর্যালোচনা করা হলে বিচার বিভাগের তদন্ত বিলম্বিত হতো। কারণ, বিশেষ পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের সরকারি পর্যালোচনার সুযোগ নেই।
নিউইয়র্কের ৭৮ বছর বয়সী বিচারক রেমন্ড ডিয়ারিকে ট্রাম্পের মামলায় স্পেশাল মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই বিচারপতি ১৯৮৬ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সময় প্রথম নিয়োগ পান।
গতকালের এই রুলের বিরুদ্ধে ট্রাম্প এবং তাঁর আইনজীবীরা আপিল করবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার পর হোয়াইট হাউস ছেড়ে ফ্লোরিডার মার–এ–লাগোতে নিজ বাসভবনে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে জাতীয় গোপনীয় নথি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নথিগুলো ন্যাশনাল আর্কাইভের কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল। নিয়ম অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টরা দায়িত্ব ছাড়ার সময় তাই করে থাকেন।
জানুয়ারিতে এফবিআই ট্রাম্পের মার–এ–লাগোর বাড়ি থেকে ১৫টি বাক্স ভর্তি হোয়াইট হাউসের গোপন নথি জব্দ করে। গত আগস্টে আরও ২০ বাক্স গোপন নথি উদ্ধার হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অভিযোগ, সব মিলে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে ১১ সেট গোপন নথি সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন।
তবে ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।