টিম ওয়ালজকে নিয়ে জোর প্রচারণায় কমলা

কমলা হ্যারিসফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র তিন মাস। হোয়াইট হাউসে যেতে রানিং মেট টিম ওয়ালজকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো (সুইং স্টেট) চষে বেড়াচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। গত শনিবার নেভাদায় প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। ২০২০ সালে অঙ্গরাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন বাইডেন-হ্যারিস জুটি। এবারও ধরে রাখতে চান অবস্থান।

এদিকে প্রচারণা ছাড়াই অবশ্য তিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্য উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানে এগিয়ে কমলা হ্যারিস। ৫ থেকে ৯ আগস্ট নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজ পরিচালিত জরিপ বলছে, অঙ্গরাজ্যগুলোয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪ পয়েন্ট পেছনে ফেলেছেন হ্যারিস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জন্য সুখবর হয়ে এল নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের নতুন জরিপ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ তিনটি অঙ্গরাজ্য উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানে ভোটারদের আস্থা অর্জনে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে জয় পেতে হলে কমলা হ্যারিসকে এ তিনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ভালো করতে হবে। শনিবার প্রকাশিত জরিপের ফলে দেখা গেছে, ওই তিন অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। কমলা যেখানে ৫০ পয়েন্ট পেয়েছেন, সেখানে ট্রাম্পের পয়েন্ট ৪৬।

পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে কমলা হ্যারিসের প্রতি মানুষের আস্থা ১০ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে দল নিরপেক্ষ ভোটাররা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশি বুদ্ধিমান এবং মেজাজের দিক থেকে ঠিক বলে রায় দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসে থাকতে গেলে কমলা হ্যারিসের জন্য তিন অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ। নানা বিষয় নিয়ে কমলার ওপর রিপাবলিকানদের আক্রমণ সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাটদের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। গত মে মাস থেকে তিন অঙ্গরাজ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ২৭ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে ডেমোক্র্যাটদের কাছে কমলাকে তাঁর দেশকে নিয়ে লক্ষ্যের বিষয়টি আরও স্পষ্ট করতে হবে। এর আগের এক জরিপে দেখা গিয়েছিল, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬০ শতাংশ বলেছিলেন, ট্রাম্পের স্পষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। সেখানে কমলার ক্ষেত্রে এ হার ছিল ৫৩ শতাংশ।

এর বাইরে অর্থনীতি ও অভিবাসন বিষয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। তবে হ্যারিস গর্ভপাত বিষয়ে ২৪ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। ডেমোক্র্যাটদের আশা, অ্যারিজোনা ও উইসকনসিনের মতো দ্যোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের টানতে পারবেন কমলা। গণতন্ত্রের দিক থেকে ট্রাম্পের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কমলার।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে আবার মুখ খুলেছেন কমলা হ্যারিস। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি বিদ্যালয়ে শনিবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় বেসামরিক লোকজন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

বিদ্যালয়টিতে ইসরায়েল দুই হাজার পাউন্ডের (একেকটি) তিনটি বোমা ফেলে। এতে ওই ভবনে ৭০ জনের বেশি নিহত হন বলে একটি হাসপাতালের পরিচালক বিবিসিকে জানান। বিদ্যালয়টিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।

এ হামলা প্রসঙ্গে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘গাজায় আরেকবার অনেক বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটল।’ একই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও জিম্মি মুক্তি বিষয়ে চুক্তি সইয়ের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে কমলা হ্যারিস বলেছিলেন, চলমান যুদ্ধের কারণে গাজার মানুষকে যে ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি নীরব থাকবেন না। ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

হ্যাকিংয়ের কবলে ট্রাম্পের প্রচারশিবির

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের অভ্যন্তরীণ কিছু তথ্য হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছে। শনিবার ট্রাম্পের প্রচারশিবির অভিযোগ করে, এ হ্যাকিংয়ের পেছনে ইরান সরকার দায়ী। সরাসরি তথ্যপ্রমাণ না দিলেও ইরানের সঙ্গে ট্রাম্পের অতীতের বিরোধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।