যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে ‘মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে’ উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। মানবাধিকার কাউন্সিলে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতিতে ‘মৌলিক পরিবর্তনের ঘটনায়’ গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, জনগণকে ‘বিভক্ত ও প্রতারিত’ করতেই নানা বিভাজনমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে।

আজ সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এক বক্তৃতায় ফলকার টুর্ক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার বিষয়ে গত কয়েক দশকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের উভয় দলের সমর্থন পেয়েছিলাম।...কিন্তু দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতি মৌলিকভাবে দিক পরিবর্তন করেছে। এটা নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

ফলকার টুর্কের অভিযোগ, ‘মানুষকে বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে যেসব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, এখন সেই সব নীতিকেই বৈষম্যমূলক তকমা দেওয়া হচ্ছে।...জনগণকে বিপর্যস্ত, প্রতারিত এবং বিভক্ত করতেই এসব বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা বলা হচ্ছে। এসব কিছু অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ তৈরি করছে।’

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর অনেক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বেসরকারি খাতের নানা কর্মসূচি বাতিল, স্থগিত বা সংকুচিত করেছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র না থাকায় এই কাউন্সিল কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তা নিয়ে আজ জোরালো মন্তব্য করেছেন ফলকার টুর্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে তাঁর প্রশাসন ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সবার আগে’ নীতির সঙ্গে সংস্থাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা খতিয়ে দেখছে।