ইউক্রেন নিয়ে শান্তি আলোচনার এখনই সময়: হেনরি কিসিঞ্জার
আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে ইউক্রেন নিয়ে শান্তি আলোচনার সময় ঘনিয়ে এসেছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়াকে নির্বিষ বা ভাঙার স্বপ্ন পারমাণবিক বিশৃঙ্খলার জন্ম দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র যে কৌশলে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বৈরিতা কমিয়েছিল, তার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। ভ্লাদিমির পুতিন ২০০০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বেশ কয়েক দফায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন হেনরি কিসিঞ্জার।
লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য স্পেক্টেটরে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে করণীয় সম্পর্কে বলেছেন ৯৯ বছর বয়সী হেনরি কিসিঞ্জার। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘যেসব কৌশলগত পরিবর্তন এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোর আরও শক্ত ভিত গড়ে তোলার এবং আলোচনার মাধ্যমে শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে তাদের একটি নতুন কাঠামোতে সংহত করার সময় হয়ে আসছে।’
‘কীভাবে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ এড়ানো যাবে’ এ শিরোনামে নিবন্ধে কিসিঞ্জার বলেছেন, ‘একটি শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনকে ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত করা উচিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষতার বিকল্প আর অর্থবহ নয়।’
হেনরি কিসিঞ্জার লিখেছেন, তিনি গত মে মাসে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে তিনি বলেছিলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর আগে যে অবস্থানে ছিল, সম্মুখ সমর থেকে রাশিয়ার সেনাদের সেই অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে। আর ‘আলোচনার বিষয়’ হবে ক্রিমিয়া।
এখন সংকটের সমাধানে উপায় বাতলে হেনরি কিসিঞ্জার বলেছেন, ২০১৪ সালে যে প্রক্রিয়ায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, তাতে যদি ফেরা সম্ভব না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ার দখলকৃত এলাকাগুলোতে গণভোটের মাধ্যমে সংকটের সুরাহা হতে পারে।