বাইডেনের ব্যক্তিগত অফিসে ছিল ‘অতিগোপনীয়’ নথিও
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাবেক ব্যক্তিগত অফিস ও বাড়ি থেকে গোপনীয় সরকারি নথি উদ্ধারের ঘটনা দেশটিতে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে একজন সরকারি কৌঁসুলিকে দায়িত্ব দিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। এরই মধ্যে আবার সাড়া ফেলে দেওয়ার মতো নতুন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া নথিগুলোর কয়েকটি ‘অতিগোপনীয়’।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএসের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাইডেন। গোপন নথিগুলো সেই সময়ের। আইন অনুযায়ী, চাকরি শেষ হলে কেন্দ্রীয় সরকারে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায় দাপ্তরিক নথি ও গোপন দলিলপত্র জমা দিতে হয়। তবে বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষের পরও এসব নথি জমা দেওয়া হয়নি।
তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিবিএস জানিয়েছে, বাইডেনের অফিস ও বাসা থেকে প্রায় ২০টি নথি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে অফিসে পাওয়া প্রায় ১০টি নথির মধ্যে ছিল ‘অতিগোপনীয়’ নথিগুলো। তাঁর ডেলাওয়ারের বাসায়ও প্রায় ১০টি নথি পাওয়া গেছে, তবে সেগুলো অতিগোপনীয় নয়। বলা হচ্ছে, অতিগোপনীয় নথিগুলো কোনোভাবে ফাঁস হয়ে গেলে ‘ভয়াবহ ক্ষতি’ হতে পারত।
নথিগুলো উদ্ধারের খবর প্রথম গণমাধ্যমে আসে গত সোমবার। জানা যায়, গত নভেম্বরে ওয়াশিংটনে বাইডেনের সাবেক প্রতিষ্ঠান ‘পেন বাইডেন সেন্টার’–এর অফিস থেকে নথি উদ্ধারের তথ্য। নথিগুলো উদ্ধার করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের কয়েক দিন আগে। পরদিন মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় নথি উদ্ধারের খবর জানা যায়। গত ২০ ডিসেম্বর নথিগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটন শহরের বাইডেনের বাড়ির একটি কক্ষ ও গ্যারেজ থেকে।
নথি উদ্ধারের বিষয়ে বাইডেন বলেছেন, ‘আমি গোপন নথি ও জিনিসপত্র উদ্ধারের ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করছি।’ এর আগে মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, ‘নথিগুলো পাওয়ার তথ্য আমাকে জানানো হয়েছে। ওই অফিসে সরকারি কোনো নথি নেওয়া হয়েছে, এমনটা জানতে পেরে আমি বিস্মিত হয়েছি। তবে আমি জানি না, ওই সব নথিতে কী আছে।’
এদিকে এমন সময় এসব নথি পাওয়ার ঘটনা ঘটল, যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো অবকাশযাপনকেন্দ্রে সরকারি গোপন নথি পাওয়ার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্ত কর্মকর্তারা ট্রাম্পের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩২৫টি গোপনীয় সরকারি নথি উদ্ধার করেছেন।