২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ইয়েমেনে হামলা নিয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সাফাই

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের স্থাপনায় আঘাত হানতে অজ্ঞাত স্থান থেকে উড়ে যাচ্ছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। শুক্রবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছবি : রয়টার্স

হুতিদের লক্ষ্য করে ইয়েমেনে হামলা চালানোর বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তবে রাশিয়া ও চীন অভিযোগ করেছে, এ দুই পশ্চিমা মিত্র আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্য দেশগুলোও ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে।

ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার বিষয়ে গতকাল শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সংগতি রেখে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হুতিদের হামলার সক্ষমতা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছে, যেন তারা (হুতিরা) বেপরোয়াভাবে জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখতে না পারে।

লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে হুতিদের হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত এলাকাগুলোয় হামলা চালিয়েছে।

গতকাল নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটিশ দূত সুসান উডওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা আত্মরক্ষার খাতিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে সীমিত আকারে প্রয়োজনীয় ও যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস, কানাডা, বাহরাইন ও অস্ট্রেলিয়া অভিযানে অংশ না নিলেও সমর্থন দিয়েছে।’

নিরাপত্তা পরিষদে রুশ দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। এতে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে।

রুশ দূত আরো বলেন, বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করাটা অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের হামলা প্রতিরোধ করা এক কথা, আর অন্য রাষ্ট্রে অন্যায্যভাবে ও নির্বিচারে হামলা চালানোটা আরেক কথা।

এদিকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলা অব্যাহত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আরও সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জো বাইডেন। গতকাল পেনসিলভানিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুতিরা যদি এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকে, তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবেই জবাব দেব।’

পেন্টাগনও দাবি করেছে, ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার কারণে হুতিদের নতুন হামলা চালানোর সক্ষমতা কমেছে। মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছে, ২৮টি জায়গার ৬০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে।

প্রায় এক দশক ধরে ইয়েমেনের বেশির ভাগ জায়গায় নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে হুতিরা। তারা আঞ্চলিক জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। হুতিদের হামলার কারণে গত নভেম্বর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত লোহিত সাগর থেকে দুই হাজারের বেশি জাহাজকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে।